কিশনগঞ্জঃ নেপালের তুলনায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অনেকটাই কম ভারতে। সেই কারণে নেপালের বিরাটনগর এলাকার বহু মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে জিনিসপত্র কিনতে আসেন ভারতে। এরফলে নেপালের সেই অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বিষয়টি মাথায় রেখেই ভারত থেকে জিনিসপত্র কেনার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নেপালের প্রশাসন। এর ফলে যারপরনাই ক্ষুব্ধ বিরাটনগরের বাসিন্দারা। নেপালের বিরাটনগর প্রশাসনের এই তুঘলকি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, ইন্দো-নেপাল সীমান্ত ভারতের আরারিয়া বাজারে নিত্য ব্যবহার্য সামগ্রী কিনতে আসেন নেপালের বিরাটনগরের বাসিন্দারা। দীর্ঘ বহু বছর ধরে তাঁরা ভারতের আরারিয়া বাজারের ওপর নির্ভরশীল। কারণ সেদেশের বাজারের তুলনায় ভারতের আরারিয়া বাজারে জিনিসপত্রের দাম অনেকটাই কম। বুধবার হঠাৎ করে নেপাল প্রশাসন ভারত থেকে আরারিয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতের সামগ্রী সেদেশে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ফলে বিরাটনগরের বহু মানুষ ভারত থেকে জিনিসপত্র কিনে সেদেশে ঢোকার সময়ই সীমান্তে আটকে দেয় নেপাল পুলিশ। এরপরেই ক্ষোভের আঁচ আছড়ে পরে নেপাল সীমান্তে।
নেপালের নাগরিকদের বক্তব্য, ভারতীয় পণ্য কেনার ওপরে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আগে থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা উচিত ছিল। তা না জানিয়ে আচমকা এই সিদ্ধান্তকে মেনে নেওয়া যায় না। কেননা নেপালের থেকে ভারতে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম কম। সেইজন্য সবাই ভারতে যায়। এর প্রতিবাদেই পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এই আন্দোলনকে লাগাতার চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছেন বিরাটনগরের বাসিন্দারা।
অপরদিকে একটি বিশেষ সূত্র জানিয়েছে, ভারত থেকে নেপালের নাগরিকরা নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনায় নেপালের ব্যবসায়িদের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে। সেইজন্য এই আর্থিক অবরোধ। কিন্তু এই নিয়ে সাধারণ নেপালবাসীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।