উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নাটকীয় জয় ভারতের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ফাইনালে ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ভারত। বিরাট কোহলির হাফ-সেঞ্চুরির দৌলতে ভারত ৭ উইকেটে ১৭৬ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানে থেমে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ৭ রানে জয়ী হয় ভারত।
১১ বছরের খরা কাটিয়ে আইসিসি ট্রফি জিতল টিম ইন্ডিয়া। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ লিগ, সুপার এইট ও সেমিফাইনাল মিলিয়ে টুর্নামেন্টের ৮টি ম্যাচে অপরাজিত থেকে ফাইনালে ওঠে ভারত। যদিও, তারা জেতে ৭টি ম্যাচ। একটি ম্যাচ বৃষ্টির জন্য পরিত্যাক্ত হয়। খেতাবের লড়াইয়ে ভারতের মুখোমুখি হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তারাও আগাগোড়া অপরাজিত থেকে ফাইনালে ওঠে। দক্ষিণ আফ্রিকা গ্রুপ লিগ থেকে শুরু করে সেমিফাইনাল পর্যন্ত সবক’টি ম্যাচ জেতে। ফলে এদিনের ফাইনাল ছিল সেয়ানে সেয়ানে টক্কর।
এর আগে ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল ভারত। শনিবার দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর উপহার দিতে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ফাইনালের আগে ৭ ম্যাচে ৭৫ রান করা বিরাট ফাইনালে করেছেন ৫৯ বলে ৭৬ রান। মূলত কোহলির ব্যাটে ভর করেই ভারত ১৭৬ রানের স্কোর খাঁড়া করে।
রান তাড়া করতে নেমে ১২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় উইকেটে ট্রিস্তান স্টাবসের সঙ্গে ৩৮ বলে ৫৮ রানের জুটি গড়ে দলকে খেলায় ফেরান ওপেনার কুইন্টন ডি কক। এরপর হেনরি ক্লেসেনের সঙ্গে ২৩ বলে ৩৬ রান করে আউট হন ডি কক।
পঞ্চম উইকেটে ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে মাত্র ২২ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন ক্লেসেন। ৩৬ বলে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ৪৫ রান। অক্ষর প্যাটেলকে দুটো চার আর দুটো ছক্কা হাঁকিয়ে ২৪ রান আদায় করে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন হেনরি ক্লেসেন। জয়ের জন্য শেষ ৩০ বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩০ রান। কিন্তু এখান থেকেই খেলা ঘুরে যায়। হেনরি ক্লেসেন ও মার্কো জেনসেনের উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
জয়ের জন্য শেষ ১২ বলে প্রয়োজন ছিল ২০ রান। আর্শদীপ সিংয়ের ১৯তম ওভারে মাত্র ৪ রান আসে। জয়ের জন্য শেষ ৬ বলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে করতে হতো ১৬ রান। ব্যাট করছিলেন ডেভিড মিলার ও কেশভ মহারাজ। শেষ ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ডেভিড মিলার। শেষে জয়ের জন্য ৪ বলে দরকার ছিল ১২ রান। তৃতীয় বলে সিঙ্গল নেন রাবাদা। জয়ের জন্য ৩ বলে প্রয়োজন ছিল ১১ রান। চতুর্থ বলে এক রানের বেশি করতে পারেননি মহারাজ। পরের ডেলিভারি ওয়াইড দেন হার্দিক পান্ডিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য ২ বলে দরকার ছিল ১০ রান। পঞ্চম বলে ক্যাচ তুুলে দেন রাবাদা। শেষ বলে এক রানের বেশি করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা।