মিঠুন ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে আলাদা প্রার্থী দিতে চলেছে আইএসএফ! দলের চেয়ারম্যান ও ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির উত্তরবঙ্গ সফরে এই জল্পনা ছড়িয়েছে। নওশাদ এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গে রয়েছেন। রবিবার কোচবিহার যাওয়ার পথে নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমরা ইন্ডিয়া জোটের বিপক্ষে নই। কিন্তু এই জোটে এমন কিছু রাজনৈতিক দল রয়েছে যাদের হাতে গণতন্ত্র আক্রান্ত। নীতিগত কারণেই তাঁদের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করা সম্ভব নয়।”
এদিন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে এক হাত নেন নওশাদ। তাঁর বক্তব্য, “তৃণমূল রাজনীতিতে না পেরে উঠে ব্যক্তিগত আক্রমণে যাচ্ছে। ওরা বিজেপির এজেন্ট হয়ে সারা দেশে কাজ করছে। দেশের মধ্যে যেখানেই বিজেপি সমস্যায় থাকে তৃণমূল সেখানে গিয়েই বিজেপিকে উদ্ধার করে। বিনিময়ে তৃণমূলকে দুর্নীতি করার ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রের শাসকদল।”
এছাড়াও এদিন উত্তরবঙ্গকে বঞ্চিত এলাকা বলে মন্তব্য করেন নওশাদ। এই অঞ্চল ক্রমাগত স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে পিছিয়ে পড়ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এদিন নিজেকে সংযুক্ত মোর্চার প্রতিনিধি দাবি করে দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার কথা জানান ভাঙড়ের বিধায়ক।
সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গকে পাখির চোখ করেছে আইএসএফ। বালুরঘাট, রায়গঞ্জ, মালদা, কোচবিহার সহ বেশ কিছু আসনে লোকসভায় প্রার্থী দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে দল। উত্তরবঙ্গে বেশ কিছু আসনে সংখ্যালঘু ভোট শাসনদলের অনুকূলে রয়েছে। এই ভোট তৃণমূল থেকে বেরিয়ে আইএসএফে গেলে এতে আখেরে বিজেপির লাভ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও সেসব নিয়ে না ভেবে আপাতত সংগঠন গোছানোতেই জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তরুণ নেতা।
অন্যদিকে, নওশাদের বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ। তাঁর প্রতিক্রিয়া, “নওশাদ সিদ্দিকি হয়তো জানেন না গোটা দেশে স্বৈরাচারী বিজেপির বিরোধিতা সব থেকে বেশি করে থাকে তৃণমূল কংগ্রেসই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বিজেপি বিরোধী শিবিরের অন্যতম মুখ।” গল্পের গোরু গাছে তুললে চলবে না বলেও মন্তব্য করেন পাপিয়া।