কলকাতা: ছেলেবেলায় স্বপ্ন ছিল সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া, এমনই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ক্রান্তিতে সভা শেষে ফেরার পথে দুর্যোগের মুখে পড়ে তাঁর হেলিকপ্টার। এরপর সেবক রোডের এয়ারবেসের হেলিপ্যাডে কপ্টার জরুরি অবতরণ করে।
এয়ারবেসে অপেক্ষা করতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। যতক্ষণ পর্যন্ত তাঁর বাগডোগরা যাওয়ার ব্যবস্থা না হয়, ততক্ষণ এয়ারবেসেই ছিলেন তিনি। পরে সেনাবাহিনীর তরফে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সেনা আধিকারিকদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছেন মমতা।
ভিডিওতে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘সেনাবাহিনীকে আমার অভিনন্দন। সেনা আধিকারিক ও জওয়ানরা নিজেদের জীবন দেশের জন্য উৎসর্গ করেন। তাঁদের সম্মান জানাই। জরুরি অবতরণের পর তাঁরা আমাদের যথেষ্ট যত্ন নিয়েছেন।’ সেনাদের পরিবারের প্রতিও সম্মান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি এও জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন, তাঁর এমনই স্বপ্ন ছিল ছেলেবেলায়। সেই সুযোগ তিনি পাননি। মমতা বলেন, ‘আজ আপনাদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হল। অন্তত আমার স্বপ্নটা সত্যি হল।’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সেবক রোডের এয়ারবেসের হেলিপ্যাডে মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার জরুরি ভিত্তিতে অবতরণ করে। পরে জানা যায়, অবতরণের সময় তাঁর পায়ে চোট লেগেছে। তাই কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পরই মুখ্যমন্ত্রীকে সোজা নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে এমআরআই করা হয়েছে তাঁর।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, বাঁ পায়ের হাঁটুতে ও কোমরের কাছে লিগামেন্টে আঘাত লেগেছে মুখ্যমন্ত্রীর। তবে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হতে চাননি। কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে বাড়ি চলে যান। হাসপাতাল থেকে হুইল চেয়ারে বের হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। যদিও এনিয়ে বিরোধীদের অনেকেই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন।