উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মোদির ডাকা সংসদের বিশেষ অধিবেশনে লোকসভা ও রাজ্যসভা-সংসদের দুই কক্ষেই শাসক-বিরোধী সমস্ত দলের সমর্থনে পাশ হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল।বিলকে সমর্থন জানালেও, মহিলা সংরক্ষণ বিলের মাধ্যমে কেন্দ্র সরকার ‘বিভ্রান্ত ও বিভাজনের চেষ্টা’ করছে বলেই শুক্রবার মন্তব্য করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি।
এদিন এক সাংবাদিক বৈঠক করে রাহুল গান্ধি বলেন, ‘মহিলা সংরক্ষণ বিল ভাল বিষয়। কিন্তু এর দুটো গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। এক, এই বিল আইনে পরিণত হওয়ার আগে জনসুমারি করতে হবে। দুই, বিধানসভাগুলির পুনর্বিন্যাস।কেউ জানে না এই বিল কবে বাস্তবায়ন করা হবে। এটা শুধুমাত্র বিভ্রান্ত করা ও বিভাজনের চেষ্টা।আসল সত্যিটা হল এই সংরক্ষণ আজই কার্যকর করা যায়। এটা কোনও জটিল বিষয় নয়। কিন্তু সরকার তা চাইছে না। সরকার দেশের সামনে এই বিল পেশ করল কিন্তু এটা ১০ বছর বাদে কার্যকর করবে।’
উল্লেখ্য, দেশে আসন্ন পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন।সেইসঙ্গে রয়েছে চব্বিশে লোকসভা নির্বাচনও।এদিকে বৃহস্পতিবার মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশের চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রাহুলের সাংবাদিক বৈঠক করায়, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন মোদি সরকারের ওপর চাপ তৈরি করতে ময়দানে নেমে পড়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ হওয়ার পর থেকেই বিল নিয়ে শুরু হয়েছে ‘আমরা-ওরা’ রাজনীতি। কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধি সংসদে মহিলা বিলকে ‘নিজেদের বিল’ বলে দাবি করেছেন, পাশাপাশি তৃণমূলের একাধিক্ সাংসদ মহিলা বিল নিয়ে মমতার জয়গান করে বলেছেন, অনেক আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৪০ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করে অনন্য নজির গড়েছেন। তবে পিছিয়ে নেই কেন্দ্রের শাসক বিজেপিও। তাদের এই বিল প্রসঙ্গে বক্তব্য, একমাত্র স্থির ও একক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকারই যে এই ধরনের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ করতে পারে, তা সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে।