উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বেশ কয়েকদিন ধরে রাজ্যে খবরের শিরোনামে যাদবপুর কান্ড। প্রথমবর্ষের বাংলা বিভাগের পড়ুয়ার মৃত্যুর পর প্রশাসনের কড়া নজরদারিতে বিশ্ববিদ্যালয়। পড়ুয়ার মৃত্যুর পর কারা কারা শহরের বাইরে গিয়েছেন? কারা ছেড়েছেন হস্টেল? কেনই বা ছেড়েছেন? যারা হস্টেল ছেড়েছেন তাঁদের এই ঘটনার সঙ্গে কোন যোগসূত্র আছে কিনা, সবটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বুধে এই কলেজে পা রাখতে চলেছে ইউজিসির প্রতিনিধি দল। মনে করা হচ্ছে, এই ঘটনার জেরে ‘ইনস্টিটিউশন অব এমিনেন্স’ তকমা নাও দেওয়া হতে পারে যাদববুরকে।
দীর্ঘদিন ধরেই পড়ুয়াদের র্যাগিংয় করা হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এতদিন এসব বিষয় সামনে আসেনি। নদিয়ার ছাত্রের মৃত্যুর পর আরো জোরাল হয়ে ওঠে অভিযোগ। মূলত র্যাগিংয়ের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ছাত্রটির এমনটাই অভিযোগ উঠে। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ছাত্র হস্টেলের একধিক অরাজকতার ছবি সামনে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার মেয়াদ সম্পূর্ণ হয়ে গেলেও হস্টেল থাকে প্রাক্তনীদের দখলে, সিসি ক্যামেরা থাকলেও তা অকেজো, হস্টেল চত্বরে দেখা মেলে একাধিক নিষিদ্ধ জিনিসের। এমনকি প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা হস্টেলে থাকতে এলে অন্য ছাত্রের অতিথি হিসাবে থাকতে হয় তাদের।
মনে করা হচ্ছে, এই সমস্ত অভিযোগ সামনে আসার পর অনেকেই হস্টেলে থাকতে ভয় পাচ্ছেন আবার বিতর্ক এড়ানোর জন্য অনেকে হস্টেল ছেড়ে চলে গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে যারাই হস্টেল ছেড়েছেন তারা প্রত্যেকেই তদন্তকারীদের আতশকাচের নীচে। আগামী বুধবার যাদবপুরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ট কমিশন(ইউজিসি)-এর প্রতিনিধি দল আসবেন।
অন্যদিকে, সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় কালো পতাকা নিয়ে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়ে ধিক্কার মিছিল করে ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মীদের একাংশ।