পূর্ণেন্দু সরকার, জলপাইগুড়ি: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা (HS Exam 2024) শেষ হওয়ার পর জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলায় শুরু হচ্ছে আলু হিমঘরে মজুত রাখার প্রক্রিয়া। ১ মার্চ থেকে সাধারণ আলুচাষিদের জন্য বন্ড বিলি শুরু হচ্ছে। চলবে ১০ মার্চ পর্যন্ত। তারপর গাড়িতে করে আলু এনে হিমঘরে মজুত করা যাবে। অন্যদিকে, গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে প্রান্তিক আলুচাষিদের জন্য বন্ড বিলি একই তারিখ থেকে শুরু হলেও চলবে ২০ মার্চ পর্যন্ত। তবে জেলায় প্রান্তিক চাষিদের মধ্যে বণ্টনের জন্য ৩০ শতাংশ বন্ড রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার জেলা শাসকের কনফারেন্স রুমে বৈঠক শেষে এই খবর জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন) পুষ্কর রায়। নর্থবেঙ্গল কোল্ড স্টোরেজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের জলপাইগুড়ি কোঅর্ডিনেটর কিশোর মারোদিয়া বললেন, ‘আমরা প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়েই হিমঘর থেকে আলুর বন্ড দেওয়া শুরু করব ১ মার্চ থেকে।’
জেলায় এবার ৮ লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি আলু চাষ (Potato cultivation) হয়েছে। অথচ জমি থেকে আলু তোলার আগেই কৃষকদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ট্রাক পিছু ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাম মিলছে। জলপাইগুড়িতে ২২টি হিমঘর মিলিয়ে আলু মজুতের ক্ষমতা ৪ লক্ষ মেট্রিক টন। চলতি বছর উৎপাদন ভালো হওয়ায় সেই হিসেবের বাইরে গিয়ে আলু এখন থেকেই বিহার এবং দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে যেতে শুরু করেছে। সেই সমস্ত এলাকায় আলু চাষ অপেক্ষাকৃত কম এবার। এদিকে, জলপাইগুড়ি জেলাতেও তিস্তার চরে আলুর চাষ কম হয়েছে। কারণ, সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর তিস্তা নদীতে সেনাবাহিনীর নানা জিনিসপত্র ভেসে এসেছিল। মিলেছে মর্টার শেলও। তাই নদী চরে ট্র্যাক্টর চালিয়ে জমিতে চাষাবাদ বন্ধ রাখা হয়। ট্র্যাক্টর ব্যবহার না করে অন্য উপায়ে অপেক্ষাকৃত কম পরিমাণ জমিতে চাষ করেছেন কৃষকরা।
কৃষকবন্ধুর তালিকা ধরে জেলার প্রান্তিক আলুচাষিদের মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে বন্ড বিলি করা হবে ১ মার্চ থেকেই। তবে সেই প্রক্রিয়া শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিডিও অনুমতি দেবেন বলে জানান অতিরিক্ত জেলা শাসক। এদিনের বৈঠকে কৃষি বিপণন দপ্তরের সহকারী অধিকর্তা সুব্রত দে, সহ কৃষি দপ্তরের আধিকারিক এবং কোল্ড স্টোরেজের মালিকপক্ষ উপস্থিত ছিল।