জলপাইগুড়ি: ঝড়ে বিপর্যস্ত এলাকার (Jalpaiguri) পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার জলপাইগুড়ি পৌঁছেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C. V. Ananda Bose)। এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে (Bagdogra airport) নেমে জলপাইগুড়ির উদ্দেশে রওনা দেন রাজ্যপাল। এই মুহূর্তে রয়েছেন জলপাইগুড়ির ক্লাব রোডের পূর্ত দপ্তরের বাংলোয়। এরপর জলপাইগুড়ির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সেনপাড়ায় নিহত দ্বিজেন্দ্রনারায়ণ সরকার (৫২)-র পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। সেখানে দিদির বাড়িতে এসে গতকাল ঝড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ওই ব্যক্তি। এরপর তিনি যাবেন পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা নিহত অণিমা বর্মন (৪৫)-এর বাড়িতে। সেখান থেকে জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে যাবেন রাজ্যপাল। সেখানে এই মুহূর্তে আহত ৪০ জন ভর্তি রয়েছেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে ময়নাগুড়ির (Maynaguri) বার্নিশে যাবেন তিনি। এদিন বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়ও সেনপাড়ায় যান। স্বজনহারা পরিবারের পাশে দাঁড়ান তিনি।
প্রসঙ্গত, গতকাল কিছুক্ষণের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। মৃত্যু হয় ৪ জনের। এর মধ্যে রয়েছেন জলপাইগুড়ির সেনপাড়ার দ্বিজেন্দ্রনারায়ণ সরকার (৫২), পাহাড়পুরের অণিমা বর্মন (৪৫), ময়নাগুড়ির পুটিমারির যোগেন রায় (৭২) এবং ময়নাগুড়ির রাজারহাটের সমর রায় (৬৪)। আহত হয়েছেন বহু। ঝড়ে বিপুল ক্ষতি হয়েছে ময়নাগুড়ির বার্নিশ এলাকায়। এর পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জেলাতেও ঝড়বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলে। উপড়ে পড়ে বহু গাছ। এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বহু এলাকা। ঝড়ে বিপর্যয়ের পরই উদ্ধারকাজ শুরু হয়। ঝড়ে বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে রাতেই জলপাইগুড়ি পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এদিন সেখানে পৌঁছেছেন রাজ্যপাল। এরপর যাওয়ার কথা তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীরও।