জলপাইগুড়ি: দম্পতি আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সোমবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে হাজির হলেন অভিযুক্ত তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়। আদালতের ভিতরে রয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল জলপাইগুড়ি শহরের পান্ডাপাড়ার বাসিন্দা সমাজসেবী এক দম্পত্তির রহস্যমৃত্যু হয়। বাড়ি থেকে মিলেছিল সুইসাইড নোট। তাতে তৃণমূল যুব’র জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় সহ মোট চারজনের নাম ছিল। বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের ভাই ও ভাই বৌ ছিলেন ওই দম্পতি। পরবর্তীতে ওই চারজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তার হন তৃণমূল কাউন্সিলার সন্দীপ ঘোষ সহ দু’জন।
এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে আগাম জামিনের আবেদন করেন সৈকত। কিন্তু জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের ডিভিশন বেঞ্চ সৈকতের আগাম জামিন নামঞ্জুর করে। জামিন নাকচ হতেই তৎপর হয় পুলিশ। অভিযুক্ত সৈকতকে গ্রেপ্তার করতে তাঁর বাড়ি সহ সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। কিন্তু অধরা ছিলেন তিনি। এদিকে উপ পুরপিতা নিখোঁজ, তাঁর সন্ধান চাই, জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় এই মর্মে পোস্টার সাঁটিয়ে দেন যুব কংগ্রেস কর্মীরা। এরপর আগাম জামিনের আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতা। কিন্তু সেখানেও তাঁর জামিন নামঞ্জুর করা হয়। অবশেষে শীর্ষ আদালতের নির্দেশমতো এদিন জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে হাজির হলেন তিনি।