পূর্ণেন্দু সরকার, জলপাইগুড়ি: বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ির আদলে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনকে (Jalpaiguri Road railway station) গড়ে তোলার কাজ তো ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনকে (Jalpaiguri Town Station) সাজিয়ে তোলা হবে নেতাজির স্মৃতিবিজড়িত ঘটনাকে স্মরণে রেখে।
অমৃত ভারত প্রকল্পে উত্তরবঙ্গের একাধিক স্টেশনকে স্থানীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্যের কথা স্মরণে রেখে সাজিয়ে তুলছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল (North East Frontier Railway)। এব্যাপারে রেলের (Rail) কাছে একাধিক প্রস্তাবও এসেছে বলে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানিয়েছেন। সেইমতোই উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের অধীনে অমৃত ভারত প্রকল্পে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে নেতাজির মূর্তি বসানো হবে। বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য ছবি দিয়ে সাজিয়ে সংগ্রহশালা করা হবে। জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায় এই খবর দিয়েছেন।
১৯৩৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দার্জিলিং মেল থেকে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে নেমেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। নেতাজির সেদিনের বিভিন্ন কর্মসূচির ঐতিহাসিক ঘটনাকে সামনে রেখে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মেই কয়েক বছর আগে থেকেই ফোটো গ্যালারি তৈরি করেছে জলপাইগুড়ি নেতাজি সুভাষ মিউজিয়াম অ্যান্ড কালচালারাল ফাউন্ডেশন। সংস্থার পক্ষে প্রাক্তন বিধায়ক গোবিন্দ রায় রেলের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
সেবারই প্রথম ‘ইংরেজ তুমি ভারত ছাড়ো’ আহ্বান করে দেশজুড়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিলেন সুভাষ। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহরের কংগ্রেসপাড়া ময়দানের সেই সভা থেকেই ওঠা নেতাজির সেই আহ্বানকে ঐতিহাসিক গুরুত্ব দিয়ে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনকে হেরিটেজ স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। অনেকদিন ধরেই এই দাবি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গোবিন্দ। এদিন স্টেশনে নেতাজির সেই ঐতিহাসিক ভাষণের ৮৬তম বর্ষ পালন করে টাউন স্টেশনের নেতাজি ফোটো গ্যালারিতে মাল্যদান করে ফাউন্ডেশন।
জলপাইগুড়ির সাংসদ জানিয়েছেন, নেতাজির স্মৃতি জাগিয়ে রাখার জন্য প্রস্তাবমতো রেল কাজ শুরু করেছে। যে মাঠে নেতাজি সভা করেছিলেন, রেলস্টেশনের আশপাশের সেসব জমিও রেলেরই অধীনে। সেই ময়দান, জলাশয়কে সাজাতেও কাজ করবে রেল।