উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ১৩ বছরের এক নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল এক গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনার এক বছরের মাথায় অভিযুক্ত শিক্ষকের সাজা ঘোষণা করল আদালত। অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে শোনাল ২১ বছর কারাদণ্ডের সাজা। এমনই ঘটনা ঘটেছে সাঁকরাইলে। মঙ্গলবার অভিযুক্তকে সাজা শুনিয়েছে ঝাড়গ্রাম আদালত। এই সাজা ঘোষণার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস নাগাদ সাঁকরাইলে এক গৃহশিক্ষকের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরেই পড়তে আসত নাবালিকা। ওই যুবক আবার নির্যাতিতার নিকট আত্মীয় বলে জানা যাচ্ছে। অভিযোগ, যেদিন ঘটনাটি ঘটে সেদিনও যুবকের বাড়িতে পড়তে গিয়েছিল নাবালিকা। সেদিনই বলপূর্বক মেয়েটিকে ধর্ষণ করে ওই গৃহশিক্ষক। বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য প্রাণনাশের হুমকিও দেয়। সেই ভয়েই সেই সময় ঘটনাটি চেপে যায় নির্যাতিতা। কিন্তু, কিছু মাস যেতেই মেয়েটি অসুস্থতা অনুভব করলে চিকিৎসকের কাছে গেলে, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক জানান নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা। তারপরই ঘটনার কথা জানাজানি হয় পরিবারে। ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে পরিবারের সদস্যরা। সেই সময়ই নির্যাতিতার পরিবারের লোকেরা গৃহশিক্ষকের নামে সাঁকরাইল থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৩১ জানুয়ারি চার্জশিট দেয় পুলিশ। তারপর থেকেই শুনানি চলছিল আদালতে। এই মামলায় মোট কুড়ি জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অবশেষে সমস্ত সওয়াল-জবাব শেষে অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হতেই সাজা ঘোষণা করে দিল আদালত।
মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায় সাজা ঘোষণা করেন। অভিযুক্তকে নাবালিকা ধর্ষণের দায়ে ২১ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালক। অন্যদিকে ধর্ষণের পর হুমকি দেওয়ার যে অভিযোগ সামনে এসেছিল তাতেও এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে খবর। তা না দিলে আরও ৫ দিন জেলে থাকার নির্দেশ এসেছে। পাশাপাশি নির্যাতিতাকে ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশও দিয়েছে আদালত।