মূর্তি: মূর্তি এলাকায় বেড়াতে এসেছেন কিন্তু ‘কালী’ কে চেনেন না এমন পর্যটকের সংখ্যা খুবই কম।কালী মূর্তি এলাকার একটি পোষ্য ঘোড়া। পর্যটকদের নিজের পিঠে চাপিয়ে মূর্তি নদীর পাড় বরাবর ভ্রমণ করায় সে। তবে বিগত প্রায় দুমাস ধরে কালীর দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না মূর্তি নদী সংলগ্ন এলাকায়। জানা গিয়েছে গর্ভবতী হওয়ার কারনে তাকে প্রায় দুমাস বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। কালীর পিঠে চেপে ঘুরবেন এই আশায় যে সব পর্যটকেরা মূর্তিতে আসছিলেন কালী না থাকায় বিফল মনোরথে ফিরতে হচ্ছিল তাঁদের। শেষমেষ প্রায় দুমাস পর ফের পর্যটকদের আনন্দ দিতে মূর্তিতে হাজির কালী।
উল্লেখ্য, ৪১ দিন আগে একটি সাদা ফুটফুটে মেয়ে শাবকের জন্ম দিয়েছে সে, নাম রাখা হয়েছে ‘ঝুমকি’। আর এই মুহূর্তে কালী এবং তার শাবক ঝুমকি একসঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে মূর্তি এলাকায়।মেয়ে ঝুমকিকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করছে কালী। তবে এই মুহূর্তে পর্যটকদের সংখ্যা অনেকটাই কম থাকায় সওয়ারি তেমন পাচ্ছে না তারা। পর্যটকদের পিঠে নিয়ে ঘোরানোর ফাঁকে মেয়ের কাছে গিয়ে দুধও খাওয়াচ্ছে কালী।
ঘোড়াটির মালিক কৃষ্ণা যাদব বলেন, ‘গর্ভবতী থাকা কালীন কালীকে দিয়ে কোনও কাজ করানো হয়নি।এখন তার মেয়ের বয়স ৪১ দিন।নাম রাখা হয়েছে ঝুমকি। ঝুমকিকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর পাশাপাশি মাঝেমধ্যে ঘাসও দেওয়া হচ্ছে। ঝুমকিকে দেখার জন্য মূর্তিতে মানুষের ভিড় হচ্ছে। ছবিও তুলছেন অনেকে।’