কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে এসএসসি সংক্রান্ত মামলাগুলি আর শুনবেন না বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এসএসসি সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানি হওয়ার কথা ছিল। এজলাসে আসতেই আইনজীবীরা নতুন ডিভিশন বেঞ্চের বিষয়টি উল্লেখ করেন। এরপরই মামলাগুলিকে শুনানির তালিকা থেকে ছেঁটে ফেলেন বিচারপতি।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। এছাড়াও এসএসসির একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম, ওএমআর শিট প্রকাশ সহ নানা বিষয়ে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের হয়েছিল। ৯ নভেম্বর এসএসসি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট মামলাগুলি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ফেরত পাঠায়। নতুন ডিভিশন বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই বেঞ্চেই মামলাগুলির শুনানি হবে বলে জানায় শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদিকে নিয়ে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি। এর তিনদিন পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে মামলাগুলি শুনানির জন্য ওঠে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত যেসব মামলা তাঁর এজলাসে চলছিল, সেগুলির শুনানি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেই চলবে। ২৯ নভেম্বর তাঁর বেঞ্চে ওই মামলাগুলির শুনানি হবে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে একাদশ-দ্বাদশ, নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক এবং গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের ব্যাপারে একাধিক ঘটনায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। মামলাগুলির বিভিন্ন পর্যায়ে কলকাতা হাইকোর্ট একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির প্রায় ৯০০ শিক্ষকের ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল। নবম-দশম, গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি মিলিয়ে হাজার চারেক শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীর চাকরি বাতিল করার নির্দেশও দেয়। তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট তার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ এই সংক্রান্ত ২১টি মামলা কলকাতা হাইকোর্টে ফেরত পাঠায়। মামলাগুলি বিচারের জন্য হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ গঠনের অনুরোধ জানায় শীর্ষ আদালত।