কলকাতা: কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা মৃত্যুর তদন্তে রাজ্যের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নয় কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলার তদন্তে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছিলেন। কিন্তু সিটকে রাজ্য পুলিশ সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ করা হয় বিচারপতির এজলাসে। বৃহস্পতিবার এনিয়ে বিচারপতি মান্থা বলেন, ‘আদালতের নজরে স্পষ্ট, সিট যাতে কাজ করতে না পারে সেই চেষ্টা করছে রাজ্য। এ বার কি সিবিআইকে তদন্তভার দিলে ভাল হবে?’
নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে তোলপাড় হয় উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ। যা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভে অশান্ত হয়ে ওঠে এলাকা। নাবালিকার দেহ পুলিশ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে চরম বিক্ষোভ হয়। পরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় থানায়। এদিকে থানায় আগুন লাগানোর ঘটনায় পুলিশ অভিযানে নামলে পুলিশের গুলিতে মৃত্যুঞ্জয় বর্মন নামে আর এক যুবকের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। এনিয়ে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। বিশেষ তদন্তকারী দলে ছিলেন বর্তমান আইপিএস দময়ন্তী সেন এবং দুই প্রাক্তন আইপিএস উপেন বিশ্বাস ও পঙ্কজ দত্ত। ঘটনাচক্রে, তিনজনেরই কোনও না কোনও সময়ে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার ইতিহাস রয়েছে। প্রশ্ন উঠেছিল, তবে কী ইচ্ছে করেই কালিয়াগঞ্জের ঘটনার তদন্তে তাঁদের নিয়োগ করা হল। বর্তমানে তাঁদের সাহায্য না করার অভিযোগ উঠেছে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে। এনিয়েই এদিন অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি।
রাজ্যের তরফে আইনজীবী বলেন, ‘সিটকে সাহায্য করা হয়নি এ বিষয়ে রাজ্য অবগত নয়। রাজ্য মামলাটিকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল। অবকাশকালীন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়নি। আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে।’ পালটা বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘পুলিশ সিটকে সাহায্য করছে না। আর কিছু জানে না এটা কি হতে পারে?’ এরপরই বিচারপতির নির্দেশ, রাজ্য পুলিশ কেন আদালতের নির্দেশ মানেনি, তা এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরকে।