কালিয়াগঞ্জ: মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরও ফের পুকুর ভরাটের অভিযোগ সামনে এল কালিয়াগঞ্জে(Kaliaganj)। শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গুদরিবাজার এলাকার একটি পুকুর কিনে ভরাটে উদ্যোগী হলেন জমি মাফিয়ারা(Land Mafia)। আবার এই পুকুরের একাংশে কালিয়াগঞ্জ পুরসভার ড্রেন নির্মাণের অভিযোগ উঠছে। কালিয়াগঞ্জের সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, ড্রেন তৈরির জন্যই কি কালিয়াগঞ্জ পুরসভারও প্রছন্ন মদত দিয়েছে এই পুকুর ভরাটে?
ইতিমধ্যে পুকুরের প্রায় ২৫ শতাংশ যথারীতি মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলেছেন জমি মাফিয়ারা। একটি ধর্মীয় ট্রাস্টের নামে পুকুরে মাটি ভরাটের পেছনে রহস্য নিয়ে সন্দিহান জনসাধারণ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রথমে জানা গিয়েছিল ধর্মীয় ট্রাস্টের নামে রেজিস্ট্রি হয়েছে ওই পুকুর। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে, আটজনের নামে আছে এই বিশাল পুকুরটি। পুকুর ভরাটের কাজ চলছে।
পুকুরের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা গৌতম পোদ্দার অভিযোগ করে বলেন, ‘ধর্মীয় স্থান নির্মাণের নাম করে পুকুর ভরাট চলছে। পুকুরে মাটি ভরাট শুরু হতেই বৃষ্টিতে বাড়িতে জল ঢুকে যাচ্ছে।‘ পুকুরের অন্যতম মালিক দিলীপ কর্মকার সাফাইয়ে বলেন, ‘আটজনের নামে এই পুকুর থাকলেও ভবিষ্যতে ধর্মীয় ট্রাস্টের নামে এই পুকুরটির কাগজপত্র করা হবে। এখনও পর্যন্ত পুকুরের প্রায় ২৫ শতাংশ মাটি দিয়ে বোজানো হয়েছে। আমাদের তৈরি কমিটি থেকে অনুমতি নিয়েই পুরসভা পুকুরের একাংশে পাকা ড্রেন নির্মাণ করেছে।’
তৃণমূল পরিচালিত কালিয়াগঞ্জ পুরসভার পুরপ্রধান রামনিবাস সাহা বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমি নিজে দাঁড়িয়ে শ্রীমতি নদী থেকে বেআইনি মাটি তুলিয়েছি। সেখানে দাঁড়িয়ে আমি এই পুকুরে মাটি ভরাটের জন্য লিখিত অথবা মৌখিকভাবে অনুমতি কখনই দেইনি। আর পুরসভার ড্রেন হয়েছে পুকুরের পাড়ের অংশ দিয়ে। অবশ্যই পুকুরের মালিকদের তৈরি কমিটির অনুমতি সাপেক্ষেই পুরসভা ড্রেনের কাজ করেছে।’ এ ব্যাপারে এসডিএলআরও শিবপ্রসাদ দাস বলেন, ‘এধরণের ঘটনায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়। যে কেউ এ ব্যাপারে স্থানীয় ভূমি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানালে আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’