উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ কুস্তি ফেডারেশনের কর্তা ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নেমেছেন মহিলা কুস্তিগিররা। এবার কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়ালেন ১৯৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যরা। দিল্লির বুকে পদকজয়ী কুস্তিগিরদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি ও হেনস্তার তীব্র নিন্দা করেছেন বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনি থেকে শুরু করে কপিলদেব, সুনীল গাভাসকররা। তাঁরা জানান, ‘কুস্তিগিরদের মারধর এবং হেনস্তার ছবি অস্বস্তিকর।’
হরভজন সিং ইরফান পাঠানের মতো দুই একজনকে বাদ দিলে এতদিন নীরব ছিল গোটা ক্রিকেট মহল। যাঁরা অলিম্পিক, এশিয়া কাপের মতো মঞ্চ থেকে একের পর এক পদক এনে দেশকে গর্বিত করেছেন, তাঁদের প্রকাশ্য রাজপথে দিল্লি পুলিশের হাতে হেনস্তা নিয়ে মুখ খোলেনি কেউ। যা নিয়ে যথেষ্টই জলঘোলা হয়েছে দেশের ক্রীড়ামহলে। বিরাট কোহলি, শচীন তেণ্ডুলকরদের মতো তারকারা কেন মুখ খুলছেন না, প্রশ্ন তুলেছেন খোদ সাক্ষী মালিকরা। সেই বিতর্কের আবহেই এবার মুখ খুললেন তিরাশির বিশ্বকাপজয়ীরা। তিরাশির এই বিশ্বকাপজয়ীদের মধ্যে রয়েছেন বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনি, সুনীল গাভাসকর, মোহিন্দর অমরনাথ, কীর্তি আজাদ, সন্দীপ পাটিলের মতো তারকারা।
তিরাশির বিশ্বকাপজয়ীদের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হল, “যেভাবে আমাদের চ্যাম্পিয়ন কুস্তিগিরদের হেনস্তা করা হয়েছে, সেই দৃশ্য আমাদের পীড়িত করেছে, বিব্রত করেছে। আবার একই সঙ্গে এটা ভেবেও উদ্বিগ্ন যে কুস্তিগিররা তাঁদের কষ্টার্জিত মেডেলগুলি জলে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন।” কুস্তিগিরদের উদ্দেশে তাদের আবেদন, দয়া করে তাড়াহুড়ো করে কোনও হঠকারী সিদ্ধান্ত নেবেন না। এই মেডেলগুলি বহু বছরের বহু চেষ্টা, আত্মত্যাগ, চেষ্টা এবং পরিশ্রমের ফল। ভুলেও জলে ভাসাবেন না।
বিশ্বজয়ী ভারতীয় দলের সদস্যরা বলছেন, “এগুলো শুধু তাঁদের একার নয়, গোটা দেশের জন্য গর্ব এবং আনন্দের। আমরা আশা করব কোনও হঠকারী সিদ্ধান্ত নেবেন না। একই সঙ্গে আমাদের আশা আপনাদের অভিযোগগুলি দ্রুত শোনা হবে এবং আপনারা সুবিচার পাবেন। দেশের আইনের শাসন বজায় থাকুক।”একসঙ্গে গোটা বিশ্বকাপজয়ী দলের মুখ খোলাটা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।