রাহুল মজুমদার, শিলিগুড়ি: তোলাবাজি থেকে শুরু করে মাদকের ব্যবসা, সবেতেই সিদ্ধহস্ত। জুয়ার কারবার চালানো কিংবা কোথাও হুঁশিয়ারি দিতে হবে? এক ফোনেই চলে আসবে মাসলম্যানরা। শিলিগুড়ি শহরে অপরাধ জগতের অন্যতম নাম ‘কেজিএফ গ্যাং’। সেই গ্যাংয়ের ৯ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করল শিলিগুড়ি পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ(এসওজি)।স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের ইস্টার্ন বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে এসওজি। ধৃতরা হল বিদ্যুৎ দাস, রাজীব বসাক, হরমিত সিং, অরমান মোদক, অনুষ্টুপ মজুমদার, শম্ভু দাস, মানিক হালদার, অজিত অধিকারী এবং রাজ সিংহ। ধৃতদের বিরুদ্ধে আশিঘর ফাঁড়িতে মামলা রুজু করে শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে পাঠায় পুলিশ। শিলিগুড়ি পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, ধৃতদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আসছিল। তাই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শিলিগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকার যুবকদের একটি দল রয়েছে।ওই দল বা গ্রুপের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কেজিএফ’। কেন এই নামকরণ? তা স্পষ্ট করে বলতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, এই নামেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা। অভিযোগ, বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলের ভেতরে জুয়ার আসর বসায় এই বাহিনীর সদস্যরা। তাছাড়া জমি দখল থেকে শুরু করে মাদকের ব্যবসা, অপহরণ, আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবসা সবেতেই সিদ্ধহস্ত তারা। শিলিগুড়ির বাগরাকোট থেকে শুরু করে শিবমন্দির, মাটিগাড়া, ডাঙ্গিপাড়া, ইস্টার্ন বাইপাস, চম্পাসারি এলাকার যুবকরা এই গ্যাংয়ের সদস্য।
অভিযোগ, বিভিন্ন এলাকার রাজনৈতিক নেতারা এদের মদত দেন। তাই এই দলের এত বাড়বাড়ন্ত। সহজে কেউ এই দলের বিরুদ্ধে অভিযোগও করতে চায় না। সম্প্রতি পুলিশের কাছে এই বাহিনী নিয়ে মৌখিক অভিযোগ আসছিল। তারপর টনক নড়ে। এরপরেই পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে শিলিগুড়ি পুলিশের এসওজি অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করে। বৃহস্পতিবার এদের একত্র পেয়ে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে এসওজি।