খড়িবাড়িঃ খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন একই পরিবারের চারজন সহ মোট ১১ জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ৭ জন মহিলা। বুধবার বিকেলে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাদের খড়িবাড়ি গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের প্রাথমিক ধারনা খাদ্যে বিষক্রিয়া থেকেই এমনটা হয়েছে। হাসপাতালের তরফে পরীক্ষার জন্য খাদ্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন সন্ধ্যায় খড়িবাড়ি গ্রামীন হাসপাতালে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
এদিন খড়িবাড়ি প্রেতাজোতের বাসিন্দা মহম্মদ সিরাজুল জমিতে ধানের চারা রোপনের জন্য ৭ জন দিনমজুরকে কাজে লাগায়। দুপুর একটা নাগাদ সিরাজুলের বউ দিনমজুরদের জন্য খাবার নিয়ে মাঠে যায়। খাবার হিসাবে ভাতের সঙ্গে ছিল শুঁটকি মাছ এবং চিচিঙ্গা-আলুর তরকারি। একই খাবার সিরাজুলের পরিবারের চার সদস্য খেয়েছিল। খাবার খাওয়ার ঘন্টাখানেক পর প্রত্যেকেই মাথা ব্যাথা ও ঝিমুনি উপসর্গ শুরু হয়। মালিকের কথায় একঘন্টা বিশ্রামের পর তারা ফের ধানের চারা রোপনের কাজ শুরু করেন। কিন্তু ধীরে ধীরে উপসর্গের মাত্রা বাড়তে থাকে বলে জানান মহম্মদ সিরাজুল।
এদিকে একই খাবার খেয়ে সিরাজুলের দুই সন্তানসহ তার পরিবারের অন্য ৪ সদস্যওীকই উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর তড়িঘড়ি দিনমজুর সহ পরিবারের সদস্যদের খড়িবাড়ি গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে আসে সিরাজুলসহ গ্রামের মানুষ। শারীরিক অবস্থার হাল দেখে হাসপাতালে ভর্তি করেই শুরু হয় চিকিৎসা। ভর্তি রোগীদের মধ্যে আমির হুসেন জানান, “দুপুরের খাবার খেয়ে ঝিমুনি ও মাথা ব্যাথা শুরু হয়। কারও কারও বমিভাব ছিল।” মহম্মদ সমীর বলেন, “খাবার পর যত সময় গড়িয়েছে মাথা ঘোরা ও ঝিমুনি প্রচন্ড বেড়ে যায়। নেশাগ্রস্ত মনে হচ্ছিল।” এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য উৎপল মণ্ডল বলেন, “এই ঘটনায় গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অসুস্থদের কয়েকজন এখনও কথা বলতে পারছে না। ডাক্তাররা চিকিৎসা শুরু করেছেন।”
খড়িবাড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. শফিউল আলম মল্লিক মল্লিক বলেন, “মোট ১১ জনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মাথা ব্যাথা, বমি, আচ্ছন্ন ভাব উপসর্গ নিয়ে এসেছিল। বর্তমানে তারা স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে। খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বৃস্পতিবার তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে ল্যাবে।”