মেখলিগঞ্জঃ শুক্রবার উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় চলছে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট। উৎসবের মেজাজে মেখলিগঞ্জ ব্লকের ভোট চললেও এদিন ভোট দানে বিরত থাকলেন কুচলিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১৯ অন্দরণ কুচলিবাড়ির ভোটারদের একাংশ। ভোট না দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে রাস্তা সংস্কারের কাজ করলেন গ্রামের বাসিন্দারা। এদিন সকালে গ্রামে গিয়ে দেখা গেল, ভোট উৎসবে শামিল না হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বেহাল কাঁচা রাস্তা সংস্কার করতে।
ভোট দেওয়ার পরিবর্তে কেন গ্রামের বাসিন্দারা রাস্তা সংস্কারের কাজে হাত লাগালেন? কুচলিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১৯ অন্দরণ গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার কাঁচা রাস্তা চলাচলের অনুপযুক্ত। প্রত্যকে বর্ষায় হাঁটু পর্যন্ত জল ও কাঁদায় ভরে যায়। ভোট আসলেই রাজনৈতিক দল গুলো রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দেন। কিন্তু ভোট পেরিয়ে গেলে কোনও রাজনৈতিক দলই কথা রাখে না। সেই কারণেই ভোটের দিনই নিজেরা ভোট দেওয়ার পরিবর্তে রাস্তা সংস্কারে হাত লাগিয়েছেন। শুধু তাই নয় গ্রামের প্রায় ১০০ ভোটার রয়েছে। তারা সকলে চাঁদা দিয়ে বাইরে থেকে বালি-মাটি এনে প্রায় ২৫০ মিটার রাস্তা সংস্কারে হাত লাগিয়েছেন। এদিন গ্রামে গিয়ে দেখা যায় জেলাজুড়ে যখন সবাই ভোট উৎসবে মেতেছে, তখন এই গ্রামের বাসিন্দা সুশীলা রায়, কৃষ্ণ কান্ত রায়, তপন রায় ও বাবলু রায়রা ব্যস্ত কাঁধেকাঁধ মিলিয়ে রাস্তা সংস্কারে।
সুশীলা রায়ের বক্তব্য, ‘বর্ষায় হাঁটা যায় না। তাই রাস্তা সংস্কারের কাজ করছি।’ ভোট নিয়ে এলাকার যুবক তপন রায়ের বক্তব্য, ‘সকাল থেকে রাস্তার কাজ করে যাচ্ছি। ভোট দিতে যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। অনেকেই হয়ত ভোট দেবেন, আবার অনেকেই ভোট দানে বিরত থাকবেন।’ যদিও এনিয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিরোলা ওরাওঁ বলেন, ‘১০০ দিনের কাজ বন্ধ থাকায় বেশ কিছু রাস্তা সংস্কার করা যাচ্ছে না। তবে আজ যে রাস্তা স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করা হয়েছে, সেই রাস্তা টি কেন আগে সংস্কার করা হয়নি তা খোঁজ নিয়ে নতুন করে রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগী হব।’