উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ সম্প্রতি তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল কুণাল ঘোষকে। পদ হারিয়েই সংবাদ মাধ্যমে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন কুণাল। এরপরই এই তৃণমূল নেতাকে দলে টানতে মরিয়া প্রয়াস চালায় ব্রাত্য বসু। বরফ গলাতে ব্রাত্য বসু ডেরেক ও ব্রায়ানের অফিসে নিয়ে গিয়েছিলেন কুণাল ঘোষকে। সেখানে বৈঠকের পর তৃণমূল নেতা বাইরে এসে বলেছিলেন তিনি তৃণমূলে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাঁর নেত্রী। তবে কুণাল ঘোষকে আর এখন পুরোনো মেজাজে দেখা যাচ্ছে না। তাহলে কি এখনও মেটেনি সমস্যা
এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘দল যে দায়িত্ব আমাকে দিয়েছে, তা পালন করে চলেছি। তবে কয়েকদিন ধরে দাঁতে খুব ব্যাথা। ফলে কথা কম বলার চেষ্টা করছি।’ কুণাল জানান, দাঁতে ব্যথা হওয়ায় শুক্রবার আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে গিয়ে এক্স রে করিয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় ‘রুট ক্যানাল’ (দাঁতের চিকিৎসা) শুরু হবে। তাই নির্বাচনি প্রচারে কম যাচ্ছেন। তবে তাঁর যে আর পদ নিয়ে কোনও মোহ নেই। নিজেকে একজন দলের সৈনিক হিসেবে মনে করেন তিনি। কুণাল আরও বলেন, ‘আমি যেভাবে বিভিন্ন ইস্যুতে কাউন্টার করি, রোজই করে চলেছি। দলের কাঠামোর মধ্যে থেকেই করছি।’
উল্লেখ্য, বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের সঙ্গে একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে কুণাল ঘোষকে দেখা যাওয়ার পরই দলীয় পদ থেকে সরানো হয় তাঁকে। তৃণমূলের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদে আর থাকছেন না তিনি। এই ঘটনার কয়েকদিন পর কুণালকে গাড়িতে তুলে সোজা ডেরেকের বাড়ি চলে যান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। অনেকেই ভেবেছিলেন, এরপর বরফ গলবে। কিন্তু কুণালকে আর সেভাবে মুখ খুলতে দেখা যাচ্ছে না। সেই বৈঠকের পর নির্বাচনি প্রচারে তিনি খড়গপুরে গিয়েছিলেন। ব্যারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের জনসভাতেও যাওয়ার কথা রয়েছে কুণাল ঘোষের।