মেখলিগঞ্জ: একটা সময় লক্ষ্মীপুজোই ছিল গ্রামের মূল উৎসব। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে গ্রামে সাতদিন ধরে বসত মেলার আসর। এখনও লক্ষ্মীপুজো হয়। কিন্তু আগের সেই আমেজ আর নেই। ওপারের বাংলাদেশ থেকেও এখন আর কেউ আসেন না। আগমন ঘটেনা আত্মীয় পরিজনদেরও। তাই লক্ষীপুজো এলে মনটা অনেকটাই খারাপ হয় মেখলিগঞ্জ ব্লকের ভোটবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা বাংলাদেশ মোড় সংলগ্ন এলাকার বয়স্কদের অনেকেরই।
তাদের কথায়, আগে থেকেই অর্থাভাবে দুর্গাপূজা করার সাহস দেখাননা কেউই। তবে সীমান্তের এই গ্রামে একটা সময় লক্ষ্মীপুজোই ছিল বছরের সবচাইতে বড় উৎসব। যে উৎসবে শামিল হতেন বাংলাদেশের বিভিন্ন মানুষেরাও। তবে মা লক্ষ্মীর পুজোর জন্য নারকেল, খই, নাড়ু, মোয়াও নাকি ওপার বাংলা থেকে নিয়ে আসতেন অনেকেই। দু’তিন দিন ধরে চলত এই পুজো। ওপার থেকে আসা মানুষদের অনেকে পুজোর কটাদিন এপারেই আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে কাটাতেন। তখন অবশ্য সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া ছিল না। তাই স্বাভাবিকভাবেই লক্ষ্মীপূজাকে ঘিরে দুই বাংলার মানুষের মিলন ঘটত। এখনও লক্ষ্মীপুজো হয় তবে অতীতের সেইসবের বালাই নেই।
এবারও লক্ষ্মীপুজো অনুষ্ঠিত হবে। তবে এনিয়ে তেমন একটা উৎসাহ নেই। যে কথা স্বীকার করেছেন স্থানীয় সুধীর রায়, মুকুন্দরায়রা। মুকুন্দবাবাবু বলেন, ‘আগে সীমান্তের এই গ্রামে লক্ষ্মীপুজোকে কেন্দ্র করে পুজোর দিন সাতেক আগে থেকেই এলাকা জমজমাট হয়ে যেত। গ্রামে আত্মীয় স্বজন আসা শুরু হত। অনেক মানুষ সামিল হতেন। মিলন মেলা তৈরি হত। এখন সেসব উধাও হয়ে গিয়েছে। যা মনে পড়লে মনটা খারাপই হয়।’