বক্সিরহাটঃ একজনের জমি রাতারাতি নাম বদল হয়ে মালিকানা চলে গেল অন্যজনের হাতে। জমির মালিকের অভিযোগ, ঘুষ নিয়ে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে তুফানগঞ্জ-২ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক। সম্প্রতি ঘটনাটি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। এই ঘটনার পর অভিযুক্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বক্সিরহাট থানায়। অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, বারকোদালি -২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মানসাই এলাকার বাসিন্দা ফিরাজুল ইসলাম। ফিরাজুলের পিতা হবিবর রহমানের খতিয়ানে পাঁচ বিঘে জমি রেকর্ড ছিল। সেই জমির মালিকানা দাবি করে প্রতিবেশী আব্দুল আজিজ মিয়াঁ আদালতে একটি মামলা করেন। আজও সেই মামলা বিচারাধীন। মামলা চলাকালীন অবস্থায় যাতে কোনওরকম ভাবেই সেই জমির রেকর্ড থেকে নামবদল করা না হয়, এই নিয়ে কোর্ট থেকেও একটি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল বিএলআরও দপ্তরে। ফিরাজুল ইসলাম জানান, গত এক তারিখে আচমকা তাঁর বাড়ির সামনে হইহুল্লোড়ে মেতে ওঠেন প্রতিবেশী আজিজ মিয়াঁ। এতেই সন্দেহ হয় তাঁর। অনলাইনে জমির রেকর্ড খতিয়ে দেখতে গিয়ে তিনি লক্ষ্য করেন, তাঁর বাবার খতিয়ান থেকে পাঁচ বিঘা জমি উঠে গিয়েছে প্রতিবেশী আজিজের খতিয়ানে। এর পর দিনই তিনি নথিপত্র নিয়ে ছুটে আসেন বিএলআরও অফিসে।
যদিও প্রতিবেশী আব্দুল আজিজ মিয়াঁ জানান, ভুয়ো ওয়ারিশ নথি দেখিয়ে অনেক বছর আগেই তাঁদের অংশের জমি ফিরাজুল তাঁর বাবার নামে করে নিয়েছে। বহুদিন বাদে হলেও হলেও তিনি তাঁর ভাগের জমি ফেরত পেয়েছেন। এর জন্য কাউকেই এক টাকাও ঘুষ দেননি তিনি।
তুফানগঞ্জ-২ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক স্বপন কুমার হাঁসদা জানান, প্রোপার নোটিশ পাঠিয়েই জমি কাটা হয়েছে। এই নিয়ে যদি কারও আপত্তি থাকে, তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতেই পারেন। তবে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যে। তুফানগঞ্জ মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে আধিকারিক সুশান্ত সেনগুপ্ত জানান, অভিযোগকারী কে রায়ের অর্ডার সিটের কপি তুলে আইনের দ্বারস্থ হতে বলা হয়েছে।