মাটিগাড়া ও খড়িবাড়ি: মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন অবৈধভাবে জমির কারবার যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি ভূমি দপ্তরের কোনও আধিকারিকও জড়িত থাকে তাদেরও ছেড়ে কথা বলা হবে না। সেই হুঁশিয়ারির পরই শুক্রবার নবান্ন থেকে ভূমি দপ্তরের আধিকারিকরা শিলিগুড়িতে তদন্তে আসেন। এই দলটি সোজা চলে যায় মাটিগাড়া বিএলএলআরও অফিসে। সেখানে প্রায় চার ঘণ্টা বিএলআরও’র সঙ্গে কথা হয়। বিভিন্ন সময় এই দপ্তরের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় সরকারি জমি যেমন দেদার দখল হয়ে যাচ্ছে, তেমনি নদী থেকে অবৈধভাবে বালি পাথর তোলারও অভিযোগ উঠেছে। অথচ রহস্যজনক কারণে পুরোপুরি নিশ্চুপ প্রশাসন। এদিন সেইসব অভিযোগের পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় খতিয়ে দেখেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। আধিকারিকদের মধ্যে ছিলেন ভূমি দপ্তরের স্পেশাল সেক্রেটারি অভিজিৎ ভট্টাচার্য, সুরজ রাউত সহ আরও কয়েকজন। পরে বিএলএলআরও দীপেন লামা যাবতীয় অভিযোগ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এদিন মাটিগাড়া থেকে নকশালবাড়ি চলে যান আধিকারিকরা।
তবে আধিকারিকরা এলেও খড়িবাড়ি ব্লক জুড়ে সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করে দিনভর বালি-পাথরের অবাধ লুটতরাজ চলেছে। সূত্রের খবর, সরকারি নির্দেশে নদী থেকে বর্তমানে নদী থেকে বালি-পাথর তোলার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ১৩ ডিসেম্বরের ভূমি ও রাজস্ব দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী শুধুমাত্র লিজ হোল্ডাররা তাদের নিজস্ব জমিতে পুরোনো মজুত করা বালি পাথর সরকারি কাজের জন্য পরিবহণ করতে পারবেন। কিন্তু খড়িবাড়ি ব্লকে সরকারি নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে অবৈধ কাজ রমরমিয়ে চলছে। শুক্রবার দেখা যায়, খড়িবাড়ি ডুমুরিয়া নদী থেকে ডাম্পার ও বড়বড় ট্রাক নামিয়ে নদী থেকে বালি পাথর লুট চলছে। খড়িবাড়ি ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে রাজি হননি। তবে তিনি দ্রুত উপযুক্ত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন। খড়িবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির বিরোধী দলনেতা নান্টু মণ্ডলের অভিযোগ, শাসক দলের ‘দুস্টু লোকেরা’ এই কাজ করছে। খড়িবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সভাপতি রত্না রায় সিংহ অবশ্য দ্রুত উপযুক্ত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন।