তুফানগঞ্জ: নদীর জলস্তর বাড়ায় নদী ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের অন্দরানফুলবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উল্লারঘাট এলাকায়। যার জেরে আতঙ্কে দিন কাটছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। গত কয়েকবছরে বিঘা বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। এবছর চোখের সামনেই আবাদি ফসল সহ কয়েক বিঘা জমি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। নদী বসতির দিকে এগিয়ে আসছে। যেভাবে নদীভাঙন চলছে, এভাবে চলতে থাকলে এবছরই নদীর গ্রাসে বহু বাড়ি নদীগর্ভে চলে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। এই নদী অনেকেরই ঘুম কেড়ে নিয়েছে। তাই তড়িঘড়ি বাঁধ না দেওয়া হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এলাকাবাসী।
উল্লারঘাট এলাকায় রায়ডাক নদীর একদিকে বহুবছর আগেই আংশিক বাঁধের কাজ হয়েছিল। অপরদিকে নেই কোনও বাঁধ। রয়েছে আবাদি জমি, গঙ্গাবাড়ি, একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সহ কয়েকশো পরিবার। কৃষক থেকে শুরু করে গ্রামবাসীদের দাবি, শীঘ্রই বাঁধ দেওয়া হোক। গতবছর নদীভাঙন ঠেকাতে অন্দরানফুলবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে বাঁশের পাইলিং করে বালির বস্তা দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা গতবছরই নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। বর্তমানে নদীর জলস্তর কখনও কমছে, কখনও আবার বাড়ছে। এতে নদীর পাড় ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করতে চলেছে। শুধু বর্ষাকালেই নয়, শুখা মরশুমেও নদী ভাঙন কমবেশি হয়ে থাকে। এক কথায় বছরের প্রায় সবসময়ই কমবেশি নদীভাঙন চলতে থাকে। এলাকার বেশিরভাগ মানুষই কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। কৃষিকাজের উপর ভরসা করেই সংসার চালাতে হয় তাঁদের। কিন্তু এভাবে আবাদি জমি নদীগর্ভে তলিয়ে গেলে পথে বসতে হবে বলেই স্থানীয়রা জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা কৃষক মহেন্দ্র বর্মন জানান, লিখিতভাবে সেচ দপ্তর, বিডিও অফিস, গ্রাম পঞ্চায়েতের জানানো হলেও কোনও লাভ হয়নি। শীঘ্রই যদি বাঁধের কাজ শুরু করা না হয় তাহলে গ্রামবাসীরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। তুফানগঞ্জ মহকুমা সেচ দপ্তরের আধিকারিক সৌরভ সেন বলেন, আমাদের তরফ থেকে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।