গাজোল: তৃণমূলকে রুখতে এককাট্টা হল বিরোধীরা। বাম, কংগ্রেস, নির্দল এবং বিজেপি মিলে জোট করে বোর্ড গঠন করল গ্রাম পঞ্চায়েতে। গাজোলের আলাল গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।
আলাল গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ৩০টি। কিন্তু নির্বাচনের আগেই এক কংগ্রেস প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় ওই আসনে ভোট গ্রহণ হয়নি। মোট ২৯টি আসনের মধ্যে নির্বাচনে বিজেপি ১২টি, তৃণমূল ১০টি, কংগ্রেস ৪টি, সিপিআইএম ২টি এবং কংগ্রেস ও সিপিআইএম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী পায় ১টি আসন। যে কারণে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল ত্রিশঙ্কু হয়ে যায়। সরকারি নির্দেশে এদিন ছিল আলাল গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন। বিজেপি, সিপিআইএম, কংগ্রেস ও নির্দল প্রার্থীর সমর্থন পেয়ে প্রধান নির্বাচিত হন বিজেপির উমা মণ্ডল। অন্যদিকে উপপ্রধান নির্বাচিত হন কংগ্রেসের শফিকুল ইসলাম।
নির্বাচিত হওয়ার পর প্রধান উমা মণ্ডল জানান, এবারই প্রথম আলাল গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি বোর্ড গঠন করল। এবার এক দুর্নীতিমুক্ত এবং স্বচ্ছ পঞ্চায়েত পরিচালিত হবে। উপপ্রধান শফিকুল ইসলামের কথায়, তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছেন আলাল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। তাদের মতামতকে সম্মান জানিয়ে নতুন বোর্ড গঠন করা হল। সন্ত্রাস বা দুর্নীতি নয়, এলাকার মানুষের উন্নয়নের কাজ করবে এই বোর্ড।
বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ভিড় করেন বিভিন্ন দলের কর্মী-সমর্থকরা। দুপুর ১২টার পর থেকে শুরু হয় বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ বোর্ড গঠন করে বেরিয়ে আসেন নতুন বোর্ডের সদস্যরা। এরপরই পঞ্চায়েতের নতুন সদস্যদের নিয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন বাম, কংগ্রেস এবং বিজেপি দলের কর্মী-সমর্থকরা। শুরু হয় মিছিল। পাশাপাশি এদিন বোর্ড গঠন হয় দেওতলা, রানিগঞ্জ-১ এবং ২, সাহাজাদপুর, আলাল, করকচ, মাঝরা এবং চাকনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে। বাকি সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হবে আগামীকাল।