বাগডোগরাঃ সোমবার সাতসকালে বাগডোগরা বিমানবন্দরের (Bagdogra Airport) পাশে ডিগরাভিটা গ্রামে পড়ে থাকতে দেখা যায় গোরুর দেহাংশ। এই ঘটনায় এলাকায় চিতাবাঘের আতঙ্ক (Leopard fear) ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগডোগরা থানার পুলিশ ও বনকর্মীরা। এলাকায় শুরু হয় চিতাবাঘের খোঁজে তল্লাশি। চিতাবাঘের সন্ধান পাওয়া না গেলেও এলাকায় পটকা ফাটাতে দেখা যায় বনকর্মীদের। ডিগরাভিটা গ্রামে এখনও বিরাজ করছে চিতাবাঘের আতঙ্ক।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই বাগডোগরার অদূরে ডিগরাভিটা ও আশপাশের গ্রামগুলিতে খোয়া যাচ্ছিল গবাদি পশু। গ্রামগুলিতে মাঝে মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছিল গবাদি পশুর দেহাংশ। সোমবার সকালেও একটি খুবলে খাওয়া গোরুর দেহাংশ উদ্ধার হয় ডিগরিভিটা গ্রামে। পরে জানা যায়, মৃত গোরুটি স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ বাচ্চুর। গোরুর দেহাংশ পড়ে থাকার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগডোগরা বনদপ্তরের কর্মীরা। পৌঁছায় বাগডোগরা পুলিশ। বনকর্মীদের অনুমান, চিতাবাঘের হামলায় প্রাণ গিয়েছে গোরুটির।
এই প্রসঙ্গে মৃত গোরুর মালিক মহম্মদ বাচ্চু জানান, “মাঝেমধ্যেই গ্রাম থেকে হারিয়ে যায় গবাদি পশু। আজ আমার গোয়ালঘর থেকে খোয়া যায় একটি গোরু। পরে গোরুটিকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায় গ্রাম থেকেই। আজকে আমার গোরুর খুবলে খাওয়া দেহাংশ দেখে নিশ্চিত হয়েছি চিতাবাঘের আক্রমনেই এই ঘটনা ঘটেছে।”
বাগডোগরা রেঞ্জের আধিকারিক সোমবর্ত্য সাধু বলেন, “বিমানবন্দরের পাশে বিমানবন্দরের জন্য অধিগৃহীত জমিতে পড়েছিল গোরুর দেহটি। পাশেই একটি জঙ্গল রয়েছে। আমরা সেখানে তল্লাসি করে চিতাবাঘের লেজ দেখতে পাই। পটকা ফাটানো হয়েছে। চিতাবাঘটি এখন আর ওখানে নেই বলে মনে হয়। গ্রামের বাসিন্দাদের পটকা দেওয়া হয়েছে।” বাগডোগরা রেঞ্জার সোনম ভুটিয়া বলেন, গ্রামের পাশে বিমানবন্দরে অধিগ্রহন করা জমি থেকে গাছ কেটে চুরি হচ্ছে। ঝোপের মধ্যে চিতাবাঘ থাকতে পারছে না বলেই বাইরে চলে যায়। জংগল কাটা বন্ধ করার দরকার আছে।