কালিম্পং: নদীর কলতান, মেঘ-কুয়াশার লুকোচুরি উপভোগ করতে চান? তাহলে এবার পুজোয় আপনার গন্তব্য হতেই পারে কালিম্পংয়ের প্রত্যন্ত গ্রাম পাশাবং। কোলাহল আর শহুরে ব্যস্ততার একদম আড়ালে থেকে যাওয়া এই গ্রামটিতে এখনও মেলে আনকোড়া প্রকৃতির ছোঁয়া। কালিম্পং জেলার শ্যামাবিয়ং চা বাগান থেকে পাহাড়ি ঝিল নোকদাঁড়া যাওয়ার পথেই রয়েছে পাশাবং। এছাড়া মালবাজার থেকে গরুবাথান-ঝান্ডি হয়ে শ্যামাবিয়ং চা বাগান দিয়ে চলে যাওয়া যায় পাশাবংয়ে। এই পথে দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার। লাভা থেকেও শেরপাগাঁও হয়ে চলে আসা যায় পাশাবংয়ে। কালিম্পং থেকে এই এলাকার দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার।
পাহাড়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকা এই ছোট্ট জনপদটিতে নিরালায় কয়েকটা দিন কাটিয়ে যেতে পারেন আপনি। এখানে গীতখোলা নদী কলতান তোলে। মেঘ, কুয়াশার খেলা চলে প্রতিনিয়ত। নানা গাছ-গাছালি শোভার অপরূপ শোভা আপনাকে মুগ্ধ করবেই। স্থানীয় যুবক পূর্ণ রাই, রোশন রাইরা সম্মিলিতভাবেই এখানে পর্যটক আবাসও গড়ে তুলেছেন। ইতিমধ্যে পর্যটক আবাস চালুও করে দেওয়া হয়েছে। মালবাজারের পর্যটন উদ্যোগী রাজেন প্রধান, পরিবেশপ্রেমী যুবক স্বরূপ মিত্র কর্মকাণ্ডে যাবতীয় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। রাজেন বাবু জানান, সমবায়ের ধাঁচে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করা যেতে পারে এই মডেল সর্বত্রই কার্যকরী হবে।