নয়াদিল্লি: লিভ-ইন সম্পর্ক একটি ‘বিপজ্জনক রোগ’, যা সমাজ থেকে নির্মূল করা দরকার। লোকসভায় এমনটাই বললেন হরিয়ানার বিজেপি সাংসদ ধরমবীর সিং। সরকারকে এর বিরুদ্ধে আইন আনারও আহ্বান জানান তিনি। লোকসভায় ‘জিরো আওয়ার’-এ এই প্রসঙ্গটি তুলে সাংসদ এও বলেন, ‘প্রেমের বিয়েতে বিবাহবিচ্ছেদের হার বেশি।’ তাঁর কথায়, ‘আমি সরকার এবং সংসদের নজরে একটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয় আনতে চাই। ভারতীয় সংস্কৃতি পরিচিত ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ অর্থাৎ বিশ্ব একটি পরিবার এবং ভ্রাতৃত্বের দর্শনের নীতিতে। আমাদের সামাজিক কাঠামো বিশ্বের অন্যদের থেকে আলাদা। বৈচিত্র্যের মধ্যে আমাদের ঐক্য দেখে সমগ্র বিশ্ব মুগ্ধ।’ তাঁর বক্তব্য, ভারতে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের একটি ঐতিহ্য রয়েছে। সমাজের একটি বড় অংশ আজও বাবা-মা কিংবা আত্মীয়দের দ্বারা করানো অ্যারেঞ্জ ম্যারেজকে অগ্রাধিকার দেয়।
তাঁর বক্তব্য, বিয়ে একটি পবিত্র সম্পর্ক। যা সাত প্রজন্ম ধরে চলতে থাকে। আমেরিকার তুলনায় ভারতে বিবাহবিচ্ছেদের হার প্রায় ১.১ শতাংশ। যেখানে আমেরিকায় তা ৪০ শতাংশ। এও দেখা গিয়েছে, যে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজে বিবাহবিচ্ছেদের হার খুব কম। সম্প্রতি বিবাহবিচ্ছেদের হার অনেক বেড়েছে। এর প্রধান কারণ হল প্রেম বিয়ে। তাই সাংসদের পরামর্শ, প্রেম বিয়েতে বর ও কনের বাবা-মায়ের সম্মতি বাধ্যতামূলক করা উচিৎ।
এরপরই লিভ-ইন সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করতে দেখা যায় সাংসদকে। তাঁর বক্তব্য, একটি ‘নতুন রোগ’ আবির্ভূত হয়েছে। এই ধরনের সম্পর্ক পশ্চিমের দেশগুলিতে খুব সাধারণ। কিন্তু এটি আমাদের সমাজেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। এর পরিণতি ভয়াবহ। এই ধরনের ভয়াবহতার ঘটনাগুলি প্রায় প্রতিদিনই সামনে আসছে। তিনি বলেন, ‘এতে শুধু আমাদের সংস্কৃতিই নষ্ট হচ্ছে না, সমাজে ঘৃণা ছড়িয়ে পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের সংস্কৃতি মরে যাবে এবং আমাদের সঙ্গে অন্যদের কোনও পার্থক্য থাকবে না।’ এরপরই তিনি মন্তব্য করেন, ‘আমি অনুরোধ করছি যে লিভ-ইন সম্পর্কের বিরুদ্ধে একটি আইন প্রণয়ন করা হোক, যাতে এই ‘বিপজ্জনক রোগটি’ সমাজ থেকে নির্মূল করা যায়।’