ইসলামপুর: নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে রাস্তা নির্মাণ বন্ধ করলেন স্থানীয় কাউন্সিলার (Councillor) সহ আরও কয়েকজন কাউন্সিলারের প্রতিনিধি। শুধু তাই নয়, রাস্তার কাজে ব্যবহৃত সমস্ত পুরোনো সামগ্রী তুলে সেগুলিই নতুন রাস্তায় ব্যবহারেরও অভিযোগ উঠল। ইসলামপুরে (Islampur) রাজ্য সড়ক সম্প্রসারণে যুক্ত ঠিকাদারি সংস্থার বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন ধরে এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠছে। মঙ্গলবার রাত ও বুধবার দুপুরে এ ব্যাপারে দফায় দফায় অভিযোগ তুলে কার্যত কাজ আটকে দেওয়া হয়। বর্তমানে শ্রীকৃষ্ণপুর থেকে অলিগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাত কিলোমিটার রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ চলছে।
এজন্য এলাকাবাসীর যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। ভাঙাচোরা করায় ধুলোর দাপট ও যানজট বাড়ছে। মূল রাস্তায় পিচের প্রলেপ তোলার পর ধুলো রুখতে নিয়মিত জল দেওয়া হচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তপন দে নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘পিচের প্রলেপ তুলে দেওয়ায় যে কোনও গাড়ি গেলেই গোটা এলাকা ধুলোয় ঢেকে যাচ্ছে। ধুলো দমনে জল না দেওয়ায় এই সমস্যা। অনেকে দুর্ঘটনারও শিকার হচ্ছেন।’
মঙ্গলবার রাতে পুরোনো বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকায় কাজ বন্ধ করে দেন ইসলামপুর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অমল সরকার। তিনি বলেন, ‘আমি ও ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারের প্রতিনিধি সঞ্জয় দত্ত এসে দেখি শিডিউল মেনে কোনও কাজ হচ্ছে না। পুরসভা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচে যে বেডমিশালি ফেলে রাস্তা চওড়া করা হয়েছিল সেগুলি তুলে নিয়ে গিয়ে ফের সেই মিশ্রণ রাস্তার অন্যত্র ব্যবহৃত হচ্ছে। এনিয়ে আমরা পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলেছি।’ বুধবার দুপুরে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারের প্রতিনিধি তথা তৃণমূলের টাউন যুব সভাপতি বিক্রম দাস বরহটের কাজের মান নিয়ে অভিযোগ তুলে বলেন, ‘মূল রাস্তার দু’পাশে দেড় মিটার করে বাড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু বহু জায়গায় রাস্তা এক ফুটেরও কম বাড়ানো হচ্ছে। এমন অনিয়ম মানা হবে না। এছাড়া রাস্তায় জল না দেওয়ায় স্থানীয়রা সমস্যায় পড়ছেন। আমরা কাজ আটকাতে চাই না। তবে সাধারণ মানুষের অসুবিধা না করে নিয়ম মেনে যেন রাস্তার কাজ হয় এটাই সবার দাবি।’
অভিযোগ সম্পর্কে ঠিকাদারি সংস্থার এক কর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। এ প্রসঙ্গে পূর্ত দপ্তর (সড়ক)-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ভবতোষ দাস বলেন, ‘তেমন কিছু হয়নি। আমরা বিষয়টি দেখছি। সামান্য কিছু এদিক-ওদিক হলে সংশোধন করা হবে।’