উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ১২ বছর ধরে স্ত্রীকে ঘরে তালাবন্ধ করে রেখেছিলেন স্বামী। স্ত্রীয়ের অভিযোগ, ঘরের মধ্যে আটকে রেখে তাঁকে নিয়মিত নির্যাতন (Torture) করত তাঁর স্বামী। এহেন পাশবিক ঘটনাটি ঘটেছে মহীশূরে (Mysuru)।
বছর তিরিশের ওই মহিলা জানিয়েছেন, ১২ বছর ধরে ঘরে আটকে তাঁর ওপর নির্যাতন চালাত স্বামী। এমনকি তাঁকে শৌচালয়েও (Toilet) যেতে দেওয়া হত না। শৌচকর্মের জন্য তিনি ব্যবহার করতেন একটি ছোট বাক্স। এমনকি তাদের দুই সন্তান স্কুল থেকে ফিরে আসার পরে বাড়িতে ঢুকতে পারত না। তাঁদের বাবা কাজ থেকে ফিরে না আসা পর্যন্ত বাড়ির বাইরেই অপেক্ষা করতে হত তাঁদের। নির্যাতিতা ওই মহিলা জানিয়েছেন, “আমার বিয়ের ১২ বছর হয়ে গেছে। আমার স্বামী সবসময় ঘরে আটকে রেখে আমাকে নির্যাতন করত। আমার ছেলেমেয়েরা স্কুলে যায়। কিন্তু আমার স্বামী কাজ থেকে ফিরে না আসা পর্যন্ত ওরা বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকত। আমি আমার সন্তানদের জানালা দিয়ে খাবার দিতাম।”
তবে সূত্রের খবর, ওই মহিলা নাকি শুধু গত দুই থেকে তিন সপ্তাহ ধরে তাঁর বাড়িতে বন্দি ছিলেন। স্কুল থেকে ফিরে প্রতিদিন ওই মহিলার সন্তানরা বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকায় সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তাঁরাই খবর দেন পুলিশকে। এরপর পুলিশ এসে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, “ওই মহিলার বাড়ি থেকে বেরোনোর অনুমতি ছিল না। তিনি আগে একবার তাঁর বাবা-মায়ের বাড়িতে গেয়েছিলেন। তারপর থেকেই তাঁর স্বামী তাঁকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই কাজে যাওয়ার আগে তাঁকে বাড়ির ভিতরে বন্ধ (Lock) করে রেখে যেতেন।” উল্লেখ্য, ওই মহিলাটি তাঁর স্বামীর তৃতীয় স্ত্রী।