উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রচারে বেরিয়ে শশী পাঁজার দুয়ারে কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। তিনি ভোটও চাইলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশীর কাছে। শশী পাঁজার বাবা অজিত পাঁজা তাপস রায়ের ‘রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু’। সেখানে গিয়ে বিজেপি প্রার্থী মাল্যদান করেন প্রয়াত অজিত পাঁজার মূর্তিতে।
এদিন সকালে উত্তর কলকাতার বিজেপির জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনি প্রচারে প্রয়াত তৃণমূল নেতা অজিত পাঁজার বাড়িতে গিয়েছিলেন তাপস রায়। সেখানে গিয়ে প্রয়াত নেতার মূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি। সেই সময় বাড়িতেই ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। তাঁকে চা খেতে বলেন মন্ত্রী। কিন্তু তাপস রায় জানান গরমে তিনি চা খাবেন না। এর পর রাজ্যের মন্ত্রী তাঁর দিকে ঠান্ডা জলের গ্লাস এগিয়ে দেন। তাপস রায় সেই ঠান্ডা জল খান। প্রার্থী হিসাবে তিনি ভোটও চান শশী পাঁজার কাছে। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাপস রায় বলেন, ‘১৯৭৯ সাল থেকে এখানে আসি, এই বাড়িটা আমার কাছে মন্দিরের মতো।’
পরে নীচে এসে তিনি দেখা করেন ডা. অরিন্দ্রজিৎ পাঁজার সঙ্গে। বেশ কিছু কথাও হয় তাঁদের মধ্যে। ডা. অরিন্দ্রজিৎ পাঁজা বলেন, ‘তাপসদাকে খুব ছোটবেলা থেকে চিনি। উনি আসতেন আমাদের বাড়িতে। আমরা ওঁর শুভানুধ্যায়ী। উনিও আমাদের আর্শীবাদ করে।’
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘একদিন টিভিতে শুনলাম উনি আসবেন আমাদের বাড়ি। আজ আমার অফিসে বসে কাজ করছিলাম হঠাৎ দেখি উনি এসে হাজির। উনি বাবার মূর্তিতে মালা দিলেন। অজিত পাঁজা ওনার রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু এটা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।’
উল্লেখ্য, গত সোমবার নির্বাচনি প্রচারে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের রাজ্য সদর দপ্তরে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। সেখানে গিয়ে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। টানা ১৩ মিনিট ধরে কথা হয় বিমান বসুর সঙ্গে। পরে তাপস বলেছিলেন, “কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের তিনি ভোটার। প্রার্থী হিসেবে আমি বিমানদার আশীর্বাদ নিলাম এবং এই কেন্দ্রের ভোটার হিসেবে আমি যেমন সকলের কাছে যাচ্ছি ওঁর কাছেও এসেছি। উনি আমাদের রাজ্যের সর্বজেষ্ঠ্য, সৎ ও নিষ্ঠাবান রাজনৈতিক নেতা।” পরে বিমান বসু বলেন, ‘আমি এই লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার। ভোটারের কাছে নিশ্চয় প্রার্থী আসতে পারে। আমি বললাম, উত্তর কলকাতায় আমার প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্য। আমি ভোট দেব অধ্যাপক প্রদীপ ভট্টাচার্যকে।’