বালুরঘাট: জল্পনা সত্যি করে অবশেষে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হলেন জেলার বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। রবিবার ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে বিপ্লব মিত্রের নাম ঘোষণা করেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে বিপ্লব মিত্রের নাম ঘোষণা হতেই এদিন বালুরঘাট শহরের ১১ নম্বর ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থীর সমর্থনে দেওয়ার লিখন করলেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। আজ থেকেই তৃণমূল প্রার্থীর নামে বালুরঘাট সহ গোটা জেলাজুড়ে দেওয়াল লিখনের মধ্য দিয়ে প্রচার অভিযান শুরু করল শাসকদল। শুধুমাত্র প্রচার অভিযান নয় জয়ের ব্যাপারে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন বিপ্লব মিত্র। সেই বছর বাম প্রার্থী প্রশান্ত মজুমদার জয়ী হন। এরপর ২০১১ সালে হরিরামপুর বিধানসভা আসন থেকে জয়ী হন বিপ্লব মিত্র। যদিও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হরিরামপুর আসন থেকে পরাজিত হন বিপ্লব মিত্র। ২০২১ সালে আবার হরিরামপুর আসন থেকে বিপ্লব মিত্র শাসকদলের হয়ে দাঁড়ান। এবং জয়ী হন। রাজ্যের মন্ত্রী সভাতেও জায়গা পান। প্রথমে কৃষি বিপণন ও পরে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী হিসেবে দ্বায়িত্ব দেওয়া হল বিপ্লব মিত্রকে। বর্তমানে জেলাজুড়েই বিপ্লব মিত্রের একচেটিয়া দাপট অব্যাহত রয়েছে। জেলা কমিটি থেকে ব্লক কমিটি সব জায়গায় বিপ্লব অনুগামীদের গুরুত্ব বেশি।
বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের গতবারের বিজয়ী বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে জেলার ভূমিপুত্র বিপ্লব মিত্রের উপরেই আস্থা রাখল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। বিপ্লব মিত্র তৃণমূল প্রার্থী ঘোষণা হতেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে উচ্ছ্বাস তৃণমূল শিবিরে।
বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, ‘বালুরঘাটে বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার জেলার একাধিক উন্নয়ন করেছেন। তাই জেলাবাসী সুকান্ত মজুমদারকেই জয়যুক্ত করবে আসন্ন নির্বাচনে।‘