অরুণ ঝা, দাড়িভিট: দাড়িভিটে (Daribhit) রাজেশ-তাপসের সমাধিতে মাথা ঠুকে মঙ্গলবার ইসলামপুরে (Islampur) ভোট (Lok sabha election 2024) প্রচার শুরু করলেন রায়গঞ্জ (Raiganj) লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল। রায়গঞ্জ আসনে ইসলামপুর এবং কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের চারটি সমাধি বিজেপির ভোটের হাতিয়ার, তা বলাই বাহুল্য। বিচারের আশায় দাড়িভিটের রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মন যেন সমাধি থেকেই এলাকার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। তাই তো এলাকার হিন্দু ভোট নিজেদের ভোটবাক্সে পুরতে এই ইস্যুটাকেই হাতিয়ার করছেন কার্তিক। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কার্তিক বলেন, ‘শাসকদল ষড়যন্ত্র করে ভাষা শহিদদের সমাধি নির্মাণ আটকে রেখেছে। জিতলে আমি প্রথমেই এর বিচার করব।’
এদিন রাজেশের বাবা নীলকমল এবং মা ঝর্ণা প্রার্থীর সঙ্গে ছেলের সমাধিস্থলে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁরা ফের বিচারের দাবি জানিয়েছেন। তাপসের মা-বাবা চিকিৎসার কারণে বাইরে থাকায় এদিন উপস্থিত থাকতে পারেননি।
ইসলামপুরের একটি মন্দিরে পুজো দিয়ে কার্তিক দাড়িভিটের উদ্দেশে রওনা দেন। জীবন মোড় এবং মহব্বতপুর এলাকার মাঝে গাড়ি থেকে নেমে কার্তিক জনসংযোগ শুরু করেন। এলাকার মানুষদের হালচাল জানার চেষ্টা করেন। চারখাম্বা এলাকায় দেওয়াল লিখনে তুলির আঁচড় কাটেন।
কার্তিকের আসাকে কেন্দ্র করে দাড়িভিট বাজার এলাকায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সক্রিয়তা ছিল চোখে পড়ার মতো। গোটা এলাকা বিজেপির দলীয় পতাকায় ছেয়ে ফেলা হয়েছিল। রাজেশ-তাপসের মৃত্যুর পর ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে উন্নয়ন ঘোষণা করে সাঁকো সরিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে দলঞ্চা নদীর ওপর পাকা সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। সেই সেতুর সামনে বিজেপি প্রার্থীর কনভয় দাঁড়িয়ে যায়। তারপর হেঁটে সেতু পেরিয়ে কার্তিক শ্মশানে পৌঁছান।
তিনি বলেন, ‘রাজ্য সরকার এনআইএ তদন্তে সাহায্য করছে না বলে হাইকোর্টের তোপে পড়েছে। রাজেশ-তাপস তো শুধু বাংলা ভাষার শিক্ষক চেয়েছিল। তাই বলে গুলি করে মেরে ফেলতে হবে?’ তাঁর সংযোজন, ‘দাড়িভিটের মতো কালিয়াগঞ্জের আরও দুটি প্রাণের বিচার আমাদের চাই। আমরা এর শেষ দেখেই ছাড়ব।’