উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতা না হওয়ায় এবারের লোকসভা ভোটে একাই লড়বে আইএসএফ। এবার তৃতীয় পর্যায়ের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। এদিন আইএসএফের তরফে চারটি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। এই চারট কেন্দ্র হল জঙ্গিপুর, তমলুক, বনগাঁ ও কৃষ্ণনগর। জঙ্গিপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছেন শাহজাহান বিশ্বাস। তমলুকে মহিউদ্দিন আহমেদ। বনগাঁয় প্রার্থী করা হয়েছে দীপক মজুমদারকে। কৃষ্ণনগরে আইএসএফের প্রার্থী আফরোজা খাতুন। তিন দফায় এখনও পর্যন্ত ৪২টি আসনের মধ্যে ১৭টি আসনে প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে আইএসএফ। শনিবার ফুরফুরা শরিফে রাজ্যের চারটি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন দলের কার্যকরী সভাপতি সামসুর আলি মল্লিক।
লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে বামেদের সঙ্গে আইএসএফের বিবাদের সূত্রপাত হয় শ্রীরামপুর কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রে আগেই সিপিআইএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধরের নাম ঘোষণা করেছিল বামফ্রন্ট। পরবর্তীতে আইএসএফও শ্রীরামপুর কেন্দ্রে তাদের প্রার্থী দাঁড় করায়। এরপরেই জল্পনা বাড়তে থাকে রাজনৈতিক মহলে, তবে কি শ্রীরামপুরে বাম-আইএসএফ সমঝোতা ধাক্কা খেল! পরবর্তী পরিস্থিতিতে দেখা যায় শুধু শ্রীরামপুর নয়, গোটা রাজ্যেই ধাক্কা খায় বামেদের সঙ্গে আইএসএফের আসন সমঝোতা। আসন সমাঝতার প্রশ্নে নওসাদ বলেছিলেন, “বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে আমরা জোট চেয়েছিলাম। কিন্তু বামেদের জন্য সেই জোট হল না।”
নওসাদের দাবি প্রসঙ্গে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেছিলেন, “কী করে আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপাতে পারে? ৪টের মিটিংয়ে আইএসএফের লোকজন এসেছেন পাঁচটার সময়। ১৫-২০ মিনিট দেরি হতে পারে, সেখানে ১ ঘণ্টা দেরি করে আসা। কথাটা এই কারণে বলছি, কারণ, আসন সমঝোতার প্রশ্নে ওদের আন্তরিকতা যে ছিল না, তা স্পষ্ট।” আসন সমঝোতা ধাক্কা খাওয়ায় একাই লড়ার সিদ্ধান্ত নেয় নওসাদের দল।