উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: একই দিনে কোচবিহারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাইভোল্টেজ সভায় অন্যতম প্রসঙ্গ হিসেবে উঠে এল সিএএ। একদিকে, মোদি যেমন রাজ্যের মানুষকে সিএএ নিয়ে আসার বার্তা দিয়েছেন, অন্যদিকে, নির্বাচনি সভা থেকেই এই আইন রূপায়নের বিরোধিতা করেছেন মমতা। বৃহস্পতিবার কোচবিহারে রাসমেলার মাঠে নির্বাচনি জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনের জনসভা থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের উদ্দেশ্যে তীব্র আক্রমণ শানান তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, কোচবিহার আসনের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক, আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা, রাজ্যসভা সাংসদ নগেন রায় সহ দলের অন্য নেতা-কর্মীরা। কেন্দ্রে শক্তিশালী সরকার গঠনের জন্য বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান মোদি। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের কথা তুলে ধরেন। মোদি বাংলায় বলেন, ‘১০ বছরে যা হল, ওটা তো ট্রেলার ছিল।’ এখনও তাঁর অনেক কিছু করা বাকি। সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে মোদি তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, ‘সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। বিজেপি সন্দেশখালির দোষীদের শাস্তি দেবে।’
এরপরই সিএএ প্রসঙ্গ তোলেন মোদি। বাংলার মানুষকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ‘তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামেরা রাজবংশী, নমঃশূদ্র ও মতুয়াদের কথা কখনও ভাবেনি। এখন যখন বিজেপি সরকার সিএএ নিয়ে এসেছে, এরা তখন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। প্রতিটি পরিবারকে নাগরিকত্ব দেওয়া মোদির গ্যারান্টি। আমি বাংলার প্রতিটি পরিবারকে বলব, তৃণমূল, বামেরা আপনাদের ভয় দেখাতে পারে। কিন্তু আপনারা ১০ বছর আমার কাজ দেখেছেন। মোদির গ্যারান্টির ওপর ভরসা রাখুন।’ অন্যদিকে, এদিন কোচবিহারের গুমানিরহাটের সভা মঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি এরাজ্যে এনআরসি বা সিএএ করতে দেবেন না। তিনি এর বিরোধী।