উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সারা দেশের সঙ্গে রাজ্যেও শুরু হয়ে গেল দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহন। রাজ্যের মধ্যে উত্তরবঙ্গের ৩ আসনে ভোট শুরু হয়েছে। আসনগুলি হল দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাট। দার্জিলিং আসনে লড়াইয়ে রয়েছেন বিজেপির প্রার্থী রাজু বিস্ট, তৃণমূল কংগ্রেসের গোপাল লামা ও বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী মুনীশ তামাং। অন্যদিকে রায়গঞ্জে লড়াই তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী, বাম-কংগ্রেস জোটের আলি ইমরান রামজ ভিক্টর ও বিজেপির কার্তিক চন্দ্র পালের মধ্যে। বালুরঘাট লোকসভা আসন এবার আলাদা করে সকলের নজরে রয়েছে। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিপ্লব মিত্র, ও আরএসপির জয়দেব সিদ্ধান্ত।
ভোটকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে তিন কেন্দ্রেই। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ৭৩ কোম্পানি, দার্জিলিং জেলায় ৫১ কোম্পানি, ইসলামপুর পুলিশ জেলায় ৫১, কালিম্পংয়ে ১৬, রায়গঞ্জ পুলিশ জেলায় ৬০ এবং শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটে ২১ কোম্পানি বাহিনী থাকবে। অর্থাৎ, দ্বিতীয় দফায় রায়গঞ্জ লোকসভায় মোট কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে১১১ কোম্পানি, দার্জিলিং লোকসভায় থাকছে ৮৮ কোম্পানি ও বালুরঘাট লোকসভায় থাকছে ৭৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল থেকে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েছেন ভোটাররা। মূলত গরমের হাত থেকে বাঁচতেই দ্রুত ভোট দিয়ে ঘরে ঢুকে যেতে চাইছেন অনেকে। দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী গোপাল লামা। ভোট দিয়েছেন বিজেপি ঘনিষ্ট প্রাক্তন আমলা হর্ষবর্ধন শ্রিংলাও।
ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠল শিলিগুড়িতে। এ নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। যা ঘিরে দুপক্ষের মধ্যে বচসা বেধে যায়। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সমাজকল্যাণ বাল্মীকি বিদ্যালয় চত্বরে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে দাবি বিজেপির। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
ভোট চলাকালীন উত্তেজনা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপনের পতিরামে। জেলা বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিষ বর্মনকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে তৃণমূলের তরফে ক্যাম্প বসানোর অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। খবর পেয়ে সেই বুথে যান বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছোলে তাদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সুকান্ত। উলটে তৃণমূলের উদ্দেশে ‘চোর চোর’ স্লোগান দেন বিজেপি প্রার্থী। যদিও তৃণমূলের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।