Alipurduar | নিষ্ক্রিয়দের সরিয়ে ব্লক ও বুথ স্তরে রদবদল তৃণমূলে

মণীন্দ্রনারায়ণ সিংহ, আলিপুরদুয়ার: বেশ কিছু বুথ ও ওয়ার্ড কমিটির পদাধিকারীরা কার্যত নিষ্ক্রিয়। অথচ লোকসভা ভোট কড়া নাড়ছে। গত প্রায় দু’বছর আগের তৈরি টাউন ব্লক কমিটি কি আদৌ লোকসভায় (Lok Sabha) ভালো ফল করাতে পারবে? অগোছাল সংগঠন নিয়ে সন্দিহান টাউন ব্লক নেতৃত্বও। যার জেরে সপ্তাহখানেকের মধ্যে ব্লক ও বুথ (Booth) স্তরে বেশ কিছু সাংগঠনিক পদে রদবদল এনে আলিপুরদুয়ার তৃণমূল কংগ্রেস টাউন ব্লক নেতৃত্ব সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর ছক করেছে। শহরে সাংগঠনিক দায়িত্বে নতুন মুখ এনে লোকসভা ভোটের প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছেন টাউন ব্লক সভাপতি দীপ্ত চট্টোপাধ্যায়। সামনের লোকসভা ভোটে লিড ভোট পাওয়াটা তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার টাউন (Town) ব্লক সভাপতির কাছে চ্যালেঞ্জের। আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) টাউন ব্লক সভাপতি দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রায় দু’বছর আগের ওয়ার্ড ও বুথ সংগঠন এতদিন সাংগঠনিক বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে এসেছে। তবে সপ্তাহখানেকের মধ্যে টাউন ব্লক কমিটির সাংগঠনিক কিছু পদে রদবদল করে লোকসভার প্রস্তুতি শুরু করা হবে।’ আলিপুরদুয়ার পুরসভার ২০টি ওয়ার্ড রয়েছে। গত প্রায় দু’বছর আগে পুরভোটে আলিপুরদুয়ারের এই ২০টি আসনের মধ্যে ১৬টি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন।  একটি আসন কংগ্রেস, বাকি তিনটি আসন নির্দল প্রার্থীদের দখলে যায়। গত পুরসভা ভোটের নিরিখে ফলাফল হলে এখানে শাসকদলের প্রার্থীর লিড পাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু পুরভোটের প্রায় বছরখানেক আগে ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার শহরের ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টি ওয়ার্ডে বিজেপি (BJP) প্রার্থী লিড ভোট (Vote) পেয়েছিলেন। গত পুরভোটে যেখানে একটি আসনও বিজেপির প্রার্থী জয়ী হতে পারেননি, তার বছরখানেক আগেই ভোটের ফলাফল কিন্তু পুরোটাই গেরুয়া শিবিরের দখলে ছিল। পুরভোটের পর জেলার গ্রামীণ এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে। সেক্ষেত্রে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও লোকসভা ভোটে কি আদৌ লিড ধরে রাখা সম্ভব, সেই প্রশ্ন দলের অন্দরেও উঠে এসেছে। তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ, সাম্প্রতিক বিভিন্ন কর্মসূচিতে শহরের কর্মী-সমর্থকদের নজরকাড়া উপস্থিতি দেখা যায়নি। যদিও দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষকে যে সকল সরকারি সুযোগসুবিধা দিচ্ছেন, এটাই আমরা শহরের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করব। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না দেওয়ায় আবাস যোজনার টাকা উপভোক্তারা পাচ্ছেন না। অথচ রাজ্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বৃদ্ধি, বৃদ্ধ ভাতা, যুবদের আত্মনির্ভরশীল করতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। শহরের নাগরিকরা তৃণমূলকেই লোকসভা ভোটে সমর্থন করবেন।’