গাজোলঃ আবার ডিগবাজি খেলেন প্রাক্তন বিধায়ক দিপালী বিশ্বাস (EX MLA Dipali Biswas)। পদ্মফুল থেকে আবার ফিরলেন জোড়া ফুলে। এদিন তাঁর সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিলেন তার স্বামী রঞ্জিত বিশ্বাস। এছাড়াও এদিন দলবদল করেছেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া গাজোলের আদি তৃণমূল নেতা শিশির চক্রবর্তীও। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কদুবাড়ি মোড় এলাকায় আয়োজিত এক সভায় তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বকসি, প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্লক সভাপতি দীনেশ টুডু, তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র আশীষ কুন্ডু সহ অন্যান্যরা।
২০১৬ সালে বাম কংগ্রেসের জোট প্রার্থী হিসেবে গাজোল বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন দিপালী বিশ্বাস। কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই সে বছর ২১ জুলাই কলকাতার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন দিপালী। সেই সময় দলত্যাগ করেছিলেন দাপুটে বাম নেতা রঞ্জিত বিশ্বাসও। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে বিশ্বাস দম্পতির। ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরে অমিত শা’র হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন দিপালী এবং রঞ্জিত। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ১৮ এপ্রিল গাজোল হাই স্কুল মাঠে শুভেন্দু অধিকারীর জনসভায় বিজেপিতে যোগ দেন দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেতা শিশির চক্রবর্তী। তবে বিজেপিতে গিয়ে যে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি তারা। বিভিন্ন সময়ে তাদের কথাবার্তা এবং হাবে ভাবে তা প্রকাশ পেয়েছিল। অবশেষে এদিন তাঁরা আবার ফিরে আসলেন তৃণমূলে।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বকসি বললেন, “বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি ছিলেন দিপালী বিশ্বাস। রঞ্জিত বিশ্বাসও বিজেপির বড় পদে ছিলেন। বিজেপির ব্লক নেতৃত্ব হিসেবে কাজ করছিলেন শিশির চক্রবর্তী। এদিন তাঁরা সকলেই তৃণমূলে যোগ দিলেন। শুধু গাজোল নয়, মালদা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দলে দলে বিজেপি কর্মীরা দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করছেন। তাদের যোগদানের মধ্যে দিয়ে দল আরও শক্তিশালী হল। সবাই মিলে একযোগে নির্বাচনের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বেন”। দলবদলু তিনজনই বলেছেন, বিশেষ কিছু কারণ এবং অভিমানের ফলে দল ছেড়েছিলেন তাঁরা। তবে বিজেপিতে গিয়ে খুব একটা স্বস্তিতে ছিলেন না। তাই আবার পুরোনো দলে ফিরে আসলেন। এবার সবাই মিলে একযোগে নির্বাচনের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বেন।