চ্যাংরাবান্ধা: একসময় তাঁদের তৈরি বাঁশের উপকরণের সারাবছর জুড়েই বেশ কদর ছিল। ছটপুজোর আগে বাঁশের তৈরি ঝুড়ি ,ডালির চাহিদাও থাকত তুঙ্গে। উপার্জনও হত ভালো। কিন্তু বর্তমানে বাঁশের তৈরি সামগ্রীর সেরকম আর চাহিদা নেই। ফলে মন খারাপ কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধার হাজরাপাড়ার হস্তশিল্পীদের। আগে ছটপুজোয় বাঁশের তৈরি ডালি, ঝুড়ি ও অন্যান্য জিনিসের যথেষ্ট ব্যবহার ছিল। কিন্তু বর্তমানে বাঁশের তৈরি জিনিসের জায়গা দখল করে নিয়েছে ধাতুর তৈরি উপকরণ। ফলে নিজেদের পেশা নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন হাজরাপাড়ার গণেশ পাটনি, মায়া পাটনি, কার্তিক পাটনির মতো অনেকেই।
তাঁদের আশা ছিল, ছটপুজোর আগে বাড়তি উপার্জন হবে। কিন্তু বাঁশের তৈরি জিনিসের আশানুরূপ বিক্রি না হওয়ায় মন খারাপ তাঁদের। তাই অনেকেই এখন পূর্বপুরুষদের এই পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশার দিকে ঝুঁকে পড়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন।
এক ব্যবসায়ী গণেশ পাটনি জানান, আগের তুলনায় এখন উৎপাদন খরচ অনেকটাই বেড়েছে। সেই তুলনায় টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে সকলকেই।