কালিয়াগঞ্জ: ‘টাইগার’ আতঙ্কে পরীক্ষা দিল উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীরা। না, কালিয়াগঞ্জে কোথাও বাঘের দেখা মেলেনি। তবে লক্ষ্মীপুর মহিম চন্দ্র বিদ্যাপিঠের এক শিক্ষক শিব শঙ্কর ভৌমিককে ‘টাইগার’ উপাধি দিয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উগড়ে দিলেন উচ্চমাধ্যমিক(HS Exam 2024) পরীক্ষার্থীর অভিভাবক ও অভিভাবিকারা। তাঁরা জানান, পরীক্ষা চলাকালীন ওই শিক্ষকের দ্বারা হেনস্থার শিকার হয়েছে উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীরা(Student)। অন্যদিকে, শ্রেণিকক্ষের সিলিং ফ্যান, বাথরুমের দরজা ভাঙার ঘটনাও তুলে ধরেন স্কুল শিক্ষকরা(Teachers)।
কালিয়াগঞ্জ পার্বতী সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়েছিল ব্লকের ধনকৈল অঞ্চলের লক্ষ্মীপুর মহিমচন্দ্র বিদ্যাপিঠে। পরীক্ষার শুরুর দিকে শ্রেণিকক্ষে অপর্যাপ্ত আলো নিয়ে অভিযোগ তুলেছিল ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকেরা। কিন্তু, বুধবার অভিভাবকদের ক্ষোভের আঁচ পেতেই নড়েচড়ে বসে স্কুল কর্তৃপক্ষ। পুলিশে ছয়লাপ হয়ে যায় স্কুল চত্বর। এদিন পরীক্ষা শেষ হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকেরা।
এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবিকা সুমনা ঘোষ অভিযোগের সুরে বলেন, ‘লক্ষ্মীপুর মহিম চন্দ্র বিদ্যাপিঠের এক শিক্ষক শিবশঙ্কর ভৌমিক পরীক্ষা চলাকালীন আমার মেয়ের পেছনে গিয়ে বসছে। বলছেন, দেখি তোমার শাড়ির কুচিতে কিছু আছে নাকি? শাড়ির কুচি ঝাঁকাও। শুনলাম, আরেক পরীক্ষার্থীকে ওষুধ খেতে দেয়নি। জানলা খোলার অপরাধে এক পরীক্ষার্থীকে থাপ্পড় মারার ঘটনাও ঘটেছে। বিজ্ঞান বিভাগের সব পরীক্ষার দিন মানসিকভাবে অত্যাচার করা হয়েছে।‘
এবিষয়ে লক্ষ্মীপুর মহিম চন্দ্র বিদ্যাপিঠের প্রধান শিক্ষক সুজিত পালের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষের বেহাল দশা দেখান। অভিযোগ, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা প্রায় প্রতিটি সিলিং ফ্যানের ব্লেড বেঁকিয়ে দিয়েছে। বাথরুমের দরজা ভেঙে দিয়েছে।
কালিয়াগঞ্জ উচ্চমাধ্যমিকের ১ সার্কেল ইনচার্জ বিপুল মণ্ডল বলেন, ‘অভিভাবকদের অভিযোগ আংশিক মিথ্যা। তবে স্কুলে ফ্যান, বাথরুমের দরজার ভাঙচুরের ঘটনা আমাকেও দেখিয়েছেন স্কুল শিক্ষকরা। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুজিত পালই পুলিশ ডেকেছেন।‘