উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রেমিকাকে গুলি করে খুন। আর তারপর নিজেও আত্মঘাতী হলেন প্রেমিক। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুরের কল্যাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাইপাস সংলগ্ন এলাকায়। ঘটানটি সোমবার বা মঙ্গলবারের হলেও বুধবারই প্রকাশ্যে আসে। এদিন বিকেলে একটি বন্ধ ঘর থেকে পচা গন্ধ পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বারুইপুর থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘরের দরজা ভেঙে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে। প্রেমিকের হাত থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল। পুলিশের অনুমান ঘটনাটি খুন করে আত্মহত্যা। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম উত্তম মণ্ডল (৪৮) এবং অপর্ণা মণ্ডল (৪২)। গত ৬ মাস ধরে বারুইপুরের কল্যাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাইপাস সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা দেবেন নস্করের বাড়িতে স্বামী–স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ভাড়া থাকছিলেন তাঁরা। পেশায় ট্রাক–চালক উত্তমের আসল বাড়ি উস্তি থানার রসা এলাকায়। আর উত্তমের স্ত্রী এবং সন্তান রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ তিন বছর ধরে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অপর্ণার সঙ্গে। গত ৬ মাস ধরে তাঁরা একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। আর অপর্ণার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ধামুয়া এলাকায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এলাকার লোকেদের সঙ্গে তাঁদের খুব ভাব ছিল। তাঁদের মধ্যে ঝামেলা কোনওদিন কেউ শুনতে পাননি। বরং তাঁরা এভাবেই বেশ ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, গত সোমবার উস্তির বাড়ি থেকে কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল উত্তম। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি। ছিলেন না বারুইপুরের ভাড়া বাড়িতেও। কখন যে উত্তম ভাড়া বাড়িতে এসেছিল তা কেউ টের পাননি। আজ বিকেলে ঘর থেকে পচা গন্ধ বেরোতেই বিষয়টি সামনে আসে। উত্তমের হাতেই ছিল পিস্তল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান অপর্ণাকে গুলি করার পর নিজেও গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হন উত্তম। তবে সঠিক ঘটনা খুঁজে বের করতে শুরু হয়েছে তদন্ত। তাহলে কেন খুন করে আত্মঘাতী হলেন প্রেমিক? এই প্রশ্নের উত্তরের খোজেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।