খড়িবাড়ি: ফের জমি মাফিয়াদের নজরে পানিট্যাঙ্কির বিতর্কিত সতীশচন্দ্র চা বাগানের জমি। অভিযোগ, চা বাগানের পরিত্যক্ত জমি মাফিয়ারা বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে। শুক্রবার বাগান কর্তৃপক্ষ চা বাগানের ওই জমি দখলমুক্ত করে।
ভারত-নেপাল সীমান্তের সতীশচন্দ্র চা বাগানের জমি, জমি মাফিয়ারা সুকৌশলে ক্রমাগত ধাপে ধাপে দখল করে প্লটিং করে বিক্রি করেই চলেছে। বর্তমানে পানিট্যাঙ্কির গৌড়সিং জোত এলাকার কয়েক বছর যাবৎ ধীরে ধীরে পানিট্যাঙ্কি-নকশালবাড়ি রাজ্য সড়ক ও রেললাইনের পাশে শতাধিক মানুষ বাড়িঘর বানিয়েছে। মাঝে সতীশ চন্দ্র চা বাগানের প্রায় ১০ বিঘা জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। পাকা রাস্তা ও রেললাইনের পাশের বাড়িগুলি তাদের বাড়ির পেছনের চা বাগানের জমি গাছ লাগিয়ে কিংবা বেড়া দিয়ে দখল করে দীর্ঘদিন থেকে সবজি চাষ করছিল। দখলকারীদের অনেকের অভিযোগ, তারা জমি মাফিয়াদের ওই জমির জন্য টাকা দিয়েছে কিন্তু জমি হস্তান্তর হয়নি। অভিযোগ পেয়ে আজ চা বাগান কর্তৃপক্ষ সকাল থেকে উচ্ছেদ অভিযান চালায়। এলাকাবাসীর দাবি, জমি মাফিয়াদের একটি চক্র কয়েকজনের কাছ থেকে জমির জন্য টাকা নিয়েছে। চা বাগানের জমি দখলমুক্ত করার পাশাপাশি মাফিয়াদের মধ্যে যারা জমি বাবদ টাকা নিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে ঘটনার তদন্তের দাবি করেন এলাকাবাসী।
বাগানের চৌকিদার পিটার ওরাওঁ-এর নেতৃত্বে এদিন সকালে শ্রমিকদের একটি দল সতীশচন্দ্র চা বাগানের সুদর্শন ডিভিশনের পরিত্যক্ত জমিটি দখলমুক্ত করে। চৌকিদার পিটার ওরাওঁ-এর কথায়, ‘দখলের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ চা কোম্পানির জমি দখলমুক্ত করা হয়।‘ চা বাগানের কোনও কর্মী জমির জন্য টাকা তোলেনি বলে চৌকিদারের দাবি।