চাঁচল: মহানন্দা নদী তীরবর্তী চাঁচল ১ এর মথুরাপুর, গালিমপুর বন্যা প্রবণ এলাকা। ফি বছর বর্ষার সময় মহানন্দার জলে প্লাবিত হয় এই এলাকাগুলি। তবে এই এলাকায় সবথেকে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি হয়েছিল ২০১৭ সালে। চলতি বছর মহানন্দার ভয়াবহ রূপ সেই স্মৃতিকেই উসকে দিচ্ছে। নিম্নচাপের ফলে লাগাতার বৃষ্টির জেরে এই মুহূর্তে ফুঁসছে মহানন্দা। মথুরাপুরে বেশ কয়েক জায়গায় নদীপাড়ে নেমেছে ধস। ফলে ভাঙনের আতঙ্ক গ্রাস করছে স্থানীয়দের। এই মুহূর্তে মহানন্দার যা রূপ চলতি বছর নদীপাড় সংস্কারের কাজ না হলে বহু বাড়ি নদীগর্ভে চলে যেত বলে মনে করছেন তাঁরা।
চলতি বছরের এপ্রিলে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের বরাদ্দকৃত অর্থে মহানন্দা তীরবর্তী এই এলাকাগুলিতে নতুন করে বোল্ডার ফেলে নদী পাড় সংস্কার হয়। সেই কাজ হওয়ায় অনেকটাই সুরক্ষিত গালিমপুর। তবে সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় বেশ কিছু জায়গায় নেমেছে ধস। ফলে পুরোপুরি চিন্তামুক্ত হতে পারছে না স্থানীয়রা। স্থানীয় দানেশ আলি জানান, দু’দিন থেকে নদী পাড়ে বেশ কয়েক জায়গায় ধস নেমেছে। সেই জায়গাগুলিতে ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে। আরেকটু জল বাড়লে ভয় থেকে যাচ্ছে। কারণ সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। কাজ সম্পূর্ণ করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি চলছে উত্তরবঙ্গে। বৃষ্টির জেরে অনেক নীচু জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। কোনও কোনও জায়গায় ধস নেমেছে। বুধবারই উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদ ভেঙে বিপুল জলরাশি উপচে পড়ে তিস্তায়। যার জেরে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৪ জন। নিখোঁজ এখনও শতাধিক। তিস্তা নদী সংলগ্ন এলাকা থেকে বহু মানুষকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে উত্তরের নদীগুলির জলস্তর। ফলে আতঙ্কে রয়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।