উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: শীর্ষ আদালতে বড় ধাক্কা খেলেন তৃণমূল নেত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। টাকা নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন করার অভিযোগ সামনে আসার পর লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয় মহুয়াকে। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ও আইনজীবী জয়অনন্ত দেহদ্রাই-এর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। সোমবার দিল্লি হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানি ছিল। মহুয়ার আবেদন ছিল, সোশ্যাল মিডিয়ায় দুবে ও দেহদ্রাই এমন কিছু পোস্ট করছেন, যা তৃণমূল ও তাঁর নিজের জন্য মানহানিকর। এমন কোনও পোস্ট যাতে আর না করেন, সেই নির্দেশ দেওয়ার আর্জি হাইকোর্টে জানিয়েছিলেন মহুয়া। এদিন বিচারপতি সেই আবেদন খারিজ করে দেন।
এর আগেও মহুয়া মৈত্র অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে বিভ্রান্তিকর, অসত্য এবং গোপন রিপোর্ট প্রকাশ্যে চলে আসছে। যা তদন্ত প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। পাশাপাশি এতে মহুয়ার সামাজিক এবং রাজনৈতিকভাবে সম্মানহানিরও আশঙ্কা রয়েছে। ইডি এবং মোট ১৯টি সংবাদমাধ্যম যাতে কোনওরকম গোপন তথ্য প্রকাশ না করে, সেই দাবিতেও উচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন মহুয়া। যদিও সেই আবেদনও কাজে আসেনি।
সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পরেই মহুয়া মৈত্রকে সরকারি বাংলো ছাড়তে বলেছিল ডিরেক্টরেট অফ এস্টেট। কিন্তু তিনি সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট সেই সময় হস্তক্ষেপ করেনি। এই বিষয় নিয়ে মহুয়াকে ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটের কাছেই আবেদন করতে বলা হয়। একই সঙ্গে মামলাটিকে তুলে নেওয়ার পরামর্শ দেয় শীর্ষ আদালত। সেইমতো মহুয়া ডিরেক্টরেট অফ এস্টেটের কাছে আবেদন করেন। তাতেও লাভ হয়নি।