প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত, নয়াদিল্লি: লোকসভার এথিক্স কমিটির তলবে ৩১ অক্টোবর যাবেন না কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কমিটির চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে এমনটা জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি চিঠিতে মহুয়ার দাবি, যে ব্যবসায়ীর থেকে টাকা নিয়ে লোকসভায় তিনি আদানি শিল্প গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে, সেই ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানিকেও একইদিনে তলব করা হোক এথিক্স কমিটির সামনে৷ তিনি নিজেই ওই ব্যবসায়ীকে কমিটির সামনে জেরা করতে চান৷ এথিক্স কমিটির চেয়ারপার্সনকে লেখা সংশ্লিষ্ট চিঠি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেছেন মহুয়া৷
মহুয়ার এই দাবিকে ‘হাস্যকর’, ‘অযৌক্তিক’ বলে জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে অন্যতম অভিযোগকারী বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তিনি বলেন, ‘উনি (মহুয়া) ভুলে গিয়েছেন, একজন অভিযুক্ত কখনওই সাক্ষীকে জেরা করার অধিকারী নন। এই বিষয়ে কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত’। তাঁর মতে, ‘সংশ্লিষ্ট কমিটি হল কোর্ট অফ অনার, কোর্ট অফ ল’ নয়, এই ফারাক’টা আমরা যেন ভুলে না যাই। ১৯৫৩ সালে লোকসভার প্রথম স্পিকার মাভালঙ্কর এ পর্যবেক্ষণ রেখেছিলেন।’ এরপর নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করে মহুয়ার উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে নিশিকান্ত বলেন, ‘দুবাই দিদি (মহুয়া) কিছু লোককে জেরা করতে চান, সংসদীয় আইনানুগ (২৪৬ পৃষ্ঠা) কোনও সাক্ষীকে কিন্তু কোনওভাবে প্রভাবিত করা গর্হিত অপরাধ, তা আশাকরি উনি জানেন। বিষয়টি সর্বতো জাতীয় সুরক্ষার, কিন্তু তাকে কুস্তির আখাড়া বানাতে চাইছেন মহুয়া। উনি যা চাইবেন, সেটাই হবে না।’
এদিকে এদিন নিজের লেখা চিঠির মাধ্যমে এথিক্স কমিটিকে প্রশ্ন করতেও পিছপা হননি তৃণমূল সাংসদ৷ তাঁকে তলবের নোটিশ পাঠানোর আগেই কিভাবে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁর হাজিরার নির্দেশের খবর প্রকাশিত হল তা নিয়েও সরাসরি কমিটির চেয়ারপার্সনকে প্রশ্ন করেছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ৷ এদিকে, ৩১ অক্টোবরই দিল্লি হাইকোর্টে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রির বিরুদ্ধে মহুয়ার দায়ের করা মানহানির মামলার শুনানি আছে৷ সেই শুনানি পর্বে কি হয় সেদিকে চোখ থাকছে সকলের৷