বাণীব্রত চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি: ফেক আইডি খুলে মেসেঞ্জারে মুখাবয়বের সঙ্গে অশ্লীল ছবি এডিট করে প্রতারণার অভিযোগ উঠল এক তরুণের বিরুদ্ধে। গভীর রাতে মেসেঞ্জারে মুখাবয়বের সঙ্গে অশ্লীল ছবি পাঠানো হচ্ছে গৃহবধূ, গৃহবধূর বাবা এবং ভাইয়ের মোবাইল নম্বরে। একাধিক আইডি নম্বর থেকে এই ধরনের এডিট করা অশ্লীল ছবি পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত তরুণের বাড়ি ফালাকাটার কুঞ্জনগরে। ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ি ময়নাগুড়ি (Mainaguri) ব্লকের চূড়াভাণ্ডার এলাকায়। গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri)। যদিও ওই তরুণ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তাঁকে শুধু শুধু হয়রানি করা হচ্ছে বলে ওই তরুণের দাবি। ওই গৃহবধূর বাবা বুধবার ওই তরুণের বিরুদ্ধে ময়নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পেয়ে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ জানিয়েছে, মামলাটি সাইবার ক্রাইমে পাঠানো হবে।
ফালাকাটার ওই তরুণ ৬ মাস আগে ময়নাগুড়ি ব্লকের চূড়াভাণ্ডার এলাকায় বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে গিয়েছিলেন। সামাজিক নিয়ম মতেই মেয়ে দেখতে যান। পরবর্তীতে মেয়ের বাড়ি থেকেও পালটা ছেলের বাড়িতে যান মেয়েপক্ষের কয়েকজন। ওই পর্যন্তই। বিয়ের বিষয়টি আর এগোয়নি। এক মাস আগে চূড়াভাণ্ডারের ওই মেয়ের সামাজিক মতে বিয়ে হয়। এরপর থেকেই ফালাকাটার ওই তরুণ ব্ল্যাকমেল শুরু করেন বলে অভিযোগ গৃহবধূর বাবার। মুখের ছবি ঠিকঠাক রেখে বাকি অংশ অশ্লীল ছবি এডিট করে ওই গৃহবধূ, গৃহবধূর বাবা এবং ভাইয়ের মোবাইল নম্বরে মেসেঞ্জারে পাঠাতে থাকেন অভিযুক্ত তরুণ। গৃহবধূর বাবার অভিযোগ, লাগাতার এভাবে ফেক আইডি খুলে মেসেঞ্জারে মুখাবয়বের সঙ্গে অশ্লীল ছবি এডিট করে পাঠানো হচ্ছে। দিশেহারা হয়েই প্রশাসনের দ্বারস্থ হতে হয়েছে তাঁদের। আরও অভিযোগ, অভিযুক্ত ওই তরুণের সঙ্গে আরও দুজন জড়িত রয়েছেন বলে অনুমান। তাঁদের বিষয়েও থানায় জানানো হয়েছে।
লাগাতার এই ধরনের প্রতারণার ফলে রীতিমতো আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট মেয়েটির বাবার মুখে। সেই অসহায় বাবা ভিনরাজ্যে কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন। এদিন তিনি বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে মেয়েকে দেখেশুনে সামাজিক মতে বিয়ে দিয়েছি। ওই তরুণ নানা ধরনের ঘটনা ঘটিয়েই যাচ্ছে।’ অভিযুক্ত তরুণ বলেন, ‘অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। আমার মোবাইল ফোন থেকে কেন এসব করতে যাব? আমি কোনও দোষ করিনি। কাজেই আমার কোনও ভয় নেই।’ ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগ সাইবার ক্রাইমে পাঠানো হবে।