উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বাঙালি রান্না মানে শুধু তেল, হলুদ, লঙ্কা নয়, তার সঙ্গে আরও নানারকম মশলার মিশ্রণ। ধনেপাতা, কারিপাতা, পুদিনার মতো হার্ব যে কোনও সাধারণ রান্নার স্বাদ গন্ধ অনেকটা বাড়িয়ে তোলে। আর এই দরকারি হার্বসগুলি যদি বাড়িতেই পাওয়া যায়! তবে কেমন হয়? নিজের প্রয়োজনীয় হার্বস নিজেই বাড়িতে ফলিয়ে নিতে পারেন। আর কিচেন গার্ডেন করতে মোটেই অনেক জায়গার দরকার হয় না। বারান্দার কোণে, জানলার তাকে বা ছাদের একফালি জায়গাতেই দিব্যি ফলিয়ে নিতে পারবেন দরকারি হার্বস।
কারিপাতা– দক্ষিণ ভারতীয় রান্নাহেরবস তো বটেই, বাঙালি রান্নাতেও কারিপাতার গন্ধ দারুণ লাগে। অনেকেই বাড়িতে কারিপাতার গাছ রাখেন। মুসুর ডাল, মাংস, সবজি রান্নায় স্বাদের বদল ঘটাতে কারিপাতা দেওয়া যায়। মাঝারি টবে কারিপাতার বীজ বুনে দিন, সুন্দর গাছ হয়ে যাবে।
বেসিল– মূলত ইটালিয়ান খাবারে বেসিলের ব্যবহার হয়। খাবারের স্বাদ গন্ধ বাড়িয়ে তুলতে বেসিলের জুড়ি নেই। বাড়িতে যে তুলসি গাছ থাকে, তার চেয়ে একটু আলাদা এই বেসিল। তবে গোত্রের দিক থেকে দুটিই এক। আলাদা করে বেসিল চারা কেনার দরকার নেই, বাড়িতে তুলসি গাছ থাকলেই হবে। শুধু রান্নাতেই নয়, সর্দিকাশি কমাতেও তুলসি বা বেসিলের রস উপকারী। রোজ সকালে দু’ তিনটে পাতা ভালো করে ধুয়ে চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন, কাশির ধাত কমে যাবে।
পুদিনা– চাটনি থেকে শুরু করে রান্নার উপাদান হিসেবে পুদিনা পাতার স্বাদ আর গন্ধ অনেকেই খুবই পছন্দ করেন। বাড়িতে খুব সহজেই পুদিনা বুনতে পারেন। বাজার থেকে পুদিনা পাতা কিনে গোড়াগুলো কেটে অল্প জলে এক রাত ভিজিয়ে রাখুন, পরের দিন টবে বা অন্য কোনও ছোট ছড়ানো বাটিতে মাটি রেখে তাতে পুঁতে দিন। পাত্রটা আলোয় রাখুন, দু’বেলা পরিমাণমতো জল দেবেন। পুদিনা খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে, তাই প্রয়োজনমতো ছেঁটে দেবেন।
পেঁয়াজ পাতা– শীতে পেঁয়াজকলি খেতে ভালোবাসেন? নিজের কিচেন গার্ডেনেই বুনে ফেলুন এবার। বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনে শেকড়ের অংশটা সমেত টবে বুনে দিন, ক’দিনের মধ্যে পেঁয়াজ গাছ বেরোবে। পাতার অংশ কেটে রান্নায় দিন, খুব সুন্দর গন্ধ হবে।
ধনেপাতা– এই হার্বটি নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। পুদিনার মতোই ধনেপাতা শিকড় বুনে ফলানো যায়। তবে শুকনো ধনের বীজ মাটিতে ছড়িয়ে দিলেও সুন্দর গাছ হবে। ছোট পাত্রেও ধনেপাতার গাছ ভালো হয়, তাই জায়গার চিন্তা নেই।