সৌম্যজ্যোতি মণ্ডল, চাঁচল: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ৮ মাস পর নাটকীয় মোড় মালদার (Malda) চাঁচল (Chanchal) ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল (TMC) পরিচালিত মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। হাইকোর্টের নির্দেশে প্রধান এবং সদস্য পদ খারিজ হল মৌ দাস সরকার। যিনি বোর্ড গঠনের সময় কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগদান করে প্রধান হন। তারপরেই দল বদলের আইন অনুসারে মৌয়ের সদস্য পদ খারিজ করার জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস (Congress)। গত ৩০ জানুয়ারি হাইকোর্টের সেই নির্দেশ আসে। এবার সেই নির্দেশকেই কার্যকরী করল ব্লক প্রশাসন।
জানা যাচ্ছে, পঞ্চায়েত আইন অনুসারে খুব দ্রুত প্রধান গঠন প্রক্রিয়া হবে। আর এই নির্দেশ সামনে আসতেই উৎসবে মেতে উঠলেন মহানন্দপুর অঞ্চলের কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। বাজি ফাটিয়ে, আবির খেলে বিজয় উৎসব পালন করল কংগ্রেস। মহানন্দা নদীতে সকলে স্নান করে শাপমোচন করলেন বলে দাবি। কংগ্রেসের দাবি, বিশ্বাসঘাতকতার ফল পেলেন তিনি। সত্যের জয় হল। মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দখলের ব্যাপারে এবার আশাবাদী কংগ্রেস।
প্রসঙ্গত, একুশ আসন বিশিষ্ট মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০টি আসনে জয়লাভ করে কংগ্রেস, ৮টি যায় তৃণমূলের দখলে, ১টি করে জিতে বিজেপি, সিপিএম এবং নির্দল। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের সময় প্রথম দিনে ব্যাপক গণ্ডগোলের জেরে ভেস্তে যায় প্রক্রিয়া। দ্বিতীয় দিনে কংগ্রেসের একজন এবং সিপিএম আর নির্দলকে নিজেদের সঙ্গে টেনে পঞ্চায়েত দখল করে তৃণমূল। দলবদল করে প্রধান হন মৌ দাস সরকার।
চাঁচল ১ নম্বর ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি আনজারুল হক জনি বলেন, ‘সত্যের জয় হল।’ যদিও এ নিয়ে কোনওরকম মন্তব্য করতে নারাজ মৌ দাস সরকার। চাঁচল ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি শেখ আফসার আলি বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশ নিয়ে মন্তব্য করব না। তবে পঞ্চায়েত আমাদের দখলেই থাকবে।’