হরিশ্চন্দ্রপুর: খবরের জেরে সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন জেলা পরিষদ সদস্য। সরজমিনে খতিয়ে দেখলেন পরিস্থিতি। সটান নিজের গাড়িতে করেই নিয়ে গেলেন ব্লক দপ্তরে। মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর (Harishchandrapur) ১ নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ভবানীপুরের বাসিন্দা বিশুয়া দাস (৬৬)। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তিনি দৃষ্টিশক্তিহীন। কিন্তু বিশেষভাবে সক্ষমদের সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করেও পাননি। অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল কাটমানি। পাননি বার্ধক্য ভাতাও। এমনকি মাটির ঘর ভেঙে গেলেও আবাস যোজনায় বারবার আবেদন করেও ঘর মেলেনি। স্ত্রী কুশমি দাস (৫০) লোকের বাড়ি পরিচারিকার কাজ করে কোনওরকমে সংসার চালান। হাট বাজার শেষে পড়ে থাকা পচা সবজি খেয়ে দিন কাটে তাঁদের। এই পরিবারের দুরাবস্থার খবর প্রকাশিত হয় উত্তরবঙ্গ সংবাদে। এরপরই বিষয়টি জানতে পারেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য মর্জিনা খাতুন। শনিবার ওই পরিবারের কাছে সোজা চলে যান মর্জিনা।
এদিন ওই দম্পতির পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখেন মর্জিনা। ব্যক্তিগতভাবে এক মাসের মতো খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন ওই পরিবারের হাতে। তারপরে নিজের গাড়ি করে নিয়ে যান হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক দপ্তরে। দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।
জেলা পরিষদ সদস্য মর্জিনা খাতুন বলেন, ‘আমি খবরের মাধ্যমে জানতে পারি। আজ দেখা করলাম। ওদের সঙ্গে করে ব্লকে নিয়ে এলাম। দ্রুত সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে।’ হরিশ্চন্দ্রপুর ১-এর বিডিও সৌমেন মণ্ডলের কথায়, ‘আজ কাগজপত্র নিয়ে ফিলআপ করেছি। সার্টিফিকেট ইস্যু করেছি।’