উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটালঃ শনিবার ১১ টা ৪০ মিনিট নাগাদ হেলিকপ্টারে ওডিশার বালেশ্বর পৌঁছলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সাড়ে ১১ টা নাগাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে বালেশ্বরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। বালেশ্বর দুর্ঘটনাস্থলের কাছে একটি অস্থায়ী হেলিপ্যাডে অবতরন করে সড়কপথে ঘটনাস্থলে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান মমতা। ছিলে ওডিশা রাজ্যপ্রশাসনের পদস্থ কর্তারা।
পরিদর্শনকালে রেলমন্ত্রীকে পাশে নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দুর্ঘটনায় হতাহতদের মধ্যে বেশিরভাগই বাংলার। গতকাল রাতেই দুর্ঘটনার ভয়াবহতা অনুমান করে বালেশ্বরে পাঠিয়েছিলেন ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। পাঠিয়েছেন ৪০ জন ডাক্তার ও ৭০ টি অ্যাম্বুল্যান্স। উদ্ধারকার্যে আজ আরও ৪০টি অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়েছে বালেশ্বরের উদ্দেশে। তিনি দাবি করেছেন, এতবড় দুর্ঘটনায় কিছু একটা নিশ্চয়ই হয়েছে। সঠিক উচ্চ-পর্যায়ের তদন্ত করা হোক। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রীর সামনেই অভিযোগ করে বলেন, রেলের কাজে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। যাত্রী সুরক্ষায় আরও যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।
বালেশ্বরে পৌঁছেই রেলমন্ত্রী অশ্বিনীর সঙ্গে দেখা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতার। কত জনের মৃত্যু হয়েছে, তা রেলমন্ত্রীর কাছ থেকে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তখন রেলমন্ত্রী বৈষ্ণব জানান যে, ২৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। অথচ তার বেশ কিছু ক্ষণ আগেই রেলের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনায় ২৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ওডিশার বালেশ্বরে দুর্ঘটনার কবলে শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস, হাওড়া-যশোবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছেন ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। ঘটনাস্থলে গিয়ে আাধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও। বিকেলের মধ্যেই বালেশ্বর পৌছে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।